বাসন্তীতে গিয়ে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে। গ্রামবাসীদের প্রশ্ন, হিংসার সময় কাউকে দেখতে পাওয়া যায় না কেন? এবার এই ক্ষোভের ঘটনা পিছনে সরিয়ে রেখে আজ, শুক্রবার উত্তরবঙ্গে হিংসা পর্যবেক্ষণে যাচ্ছেন রবিশংকর প্রসাদের নেতৃত্বাধীন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম🧸ের সদস্যরা। ইতিমধ্যেই কোচবিহারের সন্ত্রাস কবলিত এলাকায় পৌঁছল বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্ত্রাসে আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলার প্রস্তুতি নিয়েছেন তাঁরা। তবে এখানে হেরেছে বিজেপি।
এদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম কলকাতায় এসে শুরু থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবল সমালোচনা করতে থাকে। যা গ্রামবাংলার মানুষ ভালভাবে নেননি। তারপরই বৃহস্পতিবার বসিরহাট, মিনাখাঁ হয়ে বাসন্তীতে পৌঁছয় প্রতিনিধিদলটি। সেখান থেকে🌺 সোজা চলে আসেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করতে। রাজভবন থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রবল হিংসা হয়েছে বলে দাবি করেন রবিশংকর প্রসাদ। আরও নানা জেলায় যাবেন বলে তাঁরা জানিয়েছিলেন।
অন্যদিকে বিজে𝄹পির এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমে রয়েছেন বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ, মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার ও বিজেপি সাংসদ সত্যপাল সিং, রাজদীপ রায়, রেখা ভার্মা এবং উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন ডিজিপি ও বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ ব্রিজলাল। বাসন্তীর সোনাখালিতে গিয়ে এই দলটি প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েন স্থানীয়দের। স্থানীয়রা প্রশ্ন তোলেন, হিংসার ঘটনা নিয়ে এতই যখন নেতৃত্বের অভিযোগ, তখন কোনও ঘটনা ঘটলে দলের কাউকে দেখতে পাওয়া যায় না কেন? নেতৃত্বের কাউকে পাওয়া যায় না কেন? পরিস্থিতি বেগতিক দেখে আর কথা বাড়ায়নি দলটি।
আরও পড়ুন: ভাঙড়ে যেতে বাধা নওশাদ সিদꦕ্দিকীকে, ১৪৪ ধারা থাকায় বিধায়কের গাড়ি রুখল পুলিশ
আর কী জানা যাচ্ছে? আজ, শুক্রবার নিজেদের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি নিয়ে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম এসে পৌঁছেছে কোচবিহারে। এদিন কোচবিহারের দিনহাটা–সহ একাধিক জায়গায় যাওয়ার 🐭কথা আছে তাঁদের। এমনকী নির্বাচনে আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলে রিপোর্ট তৈরি করবেন তাঁরা। তারপর আজই বিকেলে নয়াদিল্লি উড়ে যাবেন রবিশংকর প্রসাদ এবং সদস্যরা। নয়াদিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট দেবেন তাঁরা। এই গোটা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যের পরিষদীয়মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের তোপ, ‘বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিতে রাজ্যপালেরও অন্তর্ভꩵূক্ত হওয়া উচিত। তাঁর মণিপুরে পর্যন্ত যাওয়া উচিত। কারণ উনি তো রাজনৈতিক কর্মীর মতোই কাজ করছেন।’