রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন পরবর্তী হিংসা পরিস্থিতি নিয়ে বিরোܫধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এখন সোচ্চার হয়েছেন। নানা জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এবার ভাঙড়ে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন তিনি। এমনকী আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে বার্তা দিলেন। ভাঙড় যাওয়ার বিষয়টি এবং তা নিয়ে তাঁর মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ভাঙড়ে ঢুকতে বাধা পেয়েছেন নওশাদ। তবে সেখানে যেতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সওকত মোল্লাও। কিন্তু এবার শুভেন্দুকেও পাল্টা বার্তা দিলেন নওশাদ।
এদিকে আইএসএফ বিধায়কের নাম নিয়ে তাঁকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বক্তব্য, ‘নওশাদ সাহেবকে বলুন ভাঙড়ের দরজা খুলতে। আমি সেখানে নিশ্চয়ই যাব। তবে তার আগে ওঁকে বলতে হবে—নো ভোট টু মমতা।’ এই প্রস্তা☂ব শুভেন্দু যখন দিয়েছিলেন তখন অনেকেই ভাবতে শুরু করেন নওশাদ এই প্রস্তাবে রাজি হবে তো? একটা দোটানায় সবাই ছিলেন। এবার জবাব দিতে দেরি করলেন না আইএসএফ বিধায়ক। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভাঙড়ে তাঁর নামই বারবার উঠে এসেছিল। এবার সেখানে সমানে–সমানে টক্কর দিয়েছে আইএসএফ–তৃণমূল কংগ্রেস। একটি বিধায়কের দল ভাল ফল করেছে। তারপরই এসেছে বিরোধী দলনেতার প্রস্তাব।
ঠিক কী বলেছেন নওশাদ? অন্যদিকে ‘নো ভোট টু মমতা’ স্লোগান তুলে সমস্যার সমাধান হব💟ে না বলেই মনে করেন নওশাদ সিদ্দিকী। এবার সেই জবাবই দিয়েছেন তিনি শুভেন্দুকে। তাঁর কথায়, ‘নো ভোট টু মমতা বললেই যে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে এমন ভাবার কোনও কারণ নেই। আমি শুরু থেকেই একটা কথা বলেছি। আজও বলছি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দেওয়ার বিষয়টি বাংলার জন্য স্বাস্থ্যকর নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রত্যাখ্যান করতে হবে। তিনি যত কম ভোট পাবেন ততই বাংলার গণতন্ত্রের জন্য মঙ্গল হ🦄বে।’
আরও পড়ুন: থমকে গেল স💟ওকত–আ📖রাবুলের ভাঙড় যাত্রা, রাস্তায় বসে ‘অবস্থান’ দুই তৃণমূল নেতার
কেন আপনি অশান্ত ভাঙড়ে যাচ্ছেন না? এই প্রশ্ন করা হয় বিরোধী দলনেতাকে। তার জবাবে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘ভাঙড়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি হলে নিশ্চয়ই যাব। আগে নওশাদ সাহেবদের দরজা খুলতে হবে। তাঁরা তো মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন যে, বিজেপি সাম্প্রদায়িক দল। বরং ওসব ছেড়ে এখন বলতে হবে—ন🧸ো ভোট টু মমতা। আমরা সেটাই করতে এসেছি। হিন্দু–মুসলমান বিভাজন করতে আসিনি।’ এই কথা শোনার পর নওশাদের জবাব, ‘আমি শুরু থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করছি। পঞ্চায়েত এবং বিধানসভা নির্বাচনেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট না দিতে আওয়াজ তুলেছি। আর আমি কি দরজা খুলব? উনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সিনিয়র লিডার। শুধু ভাঙড় কেন? সর্বত্র ওনাকে যেতে হবে।’