পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল অনেকটা প্রকাশ হতেই রাতভর গুলি–বোমায় রণক্ষেত্র চেহারা নিল ভাঙড়। পুলিশ–আইএসএফ সংঘর্ষে তুমুল গুলি–বোমা চলল। গণনাকেন্দ্রে এই বোমাবাজির জন্য আটকে পড়েন আরাবুল ইসলাম এবং তাঁর ছেলে হাকিমুল ইসলাম। পর পর বোমা বিস্ফোরণে আতঙ্কের চেহারা নিল কাঁঠালিয়া অঞ্চল। ⛄পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়েছে। আইএসএফের এই অভিযোগের পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, আইএসএফ একাই পরিকল্পনা করে পুলিশ ও তৃণমূল কংগ্রেস নেতা–কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে। তার জেরে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও তাঁর দেহরক্ষী। পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে কয়েকজন আইএসএফ কর্মী বলে অভিযোগ।
এদিকে রাত সাড়ে ১২টার পর থেকে বোমা–গুলির শব্দে কেঁপ ওঠে ভাঙড়। তাতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ভাঙড়ের গ্রামবাসী। এই তপ্ত পরিস্থিতি শান্ত করতে টিয়ার গ্য▨াসের শেল ফাটায় পুলিশ। রবার বুলেটও চা▨লিয়েছে বলে খবর। নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে ডিসিআরসি সেন্টারে। বোমার আঘাতে বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী আহত হন। পাল্টা পুলিশের মারে আইএসএফের কয়েকজন কর্মী জখম হন। রাতে জেলা পরিষদের একটা আসন ঘিরে সমস্যা দেখা দেয় ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের কাঁঠালিয়া স্কুলে। তখন পুনরায় গণনা চেয়েছিলেন আরাবুল ইসলাম। তা থেকেই ঝামেলার শুরু হয়। রাত বাড়তেই মুড়িমুড়কির মতো বোমা পড়তে থাকে। আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে হামলা করে আইএসএফ কর্মীরা বলে অভিযোগ।
অন্যদিকে প্রথমে তৃণমূল এবং আইএসএফ কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। কাউন্টিং সেন্টারের মধ্যেই দജু’পক্ষের মারামারি শুরু হয়। তখনই গুলি চালনার ঘটনা ঘটে। তাতেই গুলিবিদ্ধ হন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। গুলি লাগে তাঁর হাতে। তাঁকে বাঁচাতে গেলে তাঁর দেহরক্ষীও গুলিবিদ্ধ হন। ভাঙড়ে ১৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। তার মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে এসেছে ১৮টি। আইএসএফ এবং জমিরক্ষা কমিটির জোট পেয়েছে একটি। তার পর থেকেই তেতে ওঠে আইএসএফ। আর হামলার পথ ধরে বল অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে আসরে নেমে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও পাল্টা জবাব দেন। তাতেই ছত্রভঙ্গ হয়ে গিয়ে বোমা মারতে শুরু করে আইএসএফ বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: 🍒‘এಌই পরিস্থিতি তৈরি করার দরকার ছিল না’, কেন হঠাৎ এমন মন্তব্য করলেন বাবুল?
আর কী জানা যাচ্ছে? এই আবহে কাঁঠালিয়া ঢোকার রাস্তাগুলিতে কাঠের গুঁড়ি ফেলে, ইট–পাথর ফেলে রাস্তা আটকানোর চেষ্টা করে। যাতে পুলিশ কাঁঠালিয়ার গণনাকেন্দ্রে ঢুকতে না পারে। তারপর পুলিশকে লক্ষ্য় করে গুলি চালিয়েছে আইএসএফ কর্মীরা বলেও অভিযোগ। পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে বিশাল পুলিশবাহিনী অ🐓কুস্থলে পৌঁছয়। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস এবং রবার বু🐠লেট। যত রাত বাড়তে থাকে তত অশান্তি চরমে ওঠে। উন্মত্ত জনতাকে লক্ষ্য করে পুলিশ গুলি চালায় বলে অভিযোগ করেছে আইএসএফ। তাতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। যদিও এই ঘটনার সত্যতা এখনও মেলেনি।