কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ আজ, মঙ্গলবার একটা স্লোগান উঠেছে। সেটি হল—ঘরে বসে কাঁদছে কারা? বিজেপি করে যারা🌳। পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনার ফলপ্রকাশ হতে শুরু করতেই প্রত্যেক গ্রামে এখন এই স্লোগান নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী–সমর্থকরা। আর তার সঙ্গে অকাল হোলি খেলা শুরু হয়েছে। গ্রামের রাঙা মাটি এখন সবুজ আবিরে ঢেকে গিয়েছে। এই আবহে পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা নিয়ে সওয়াল করলেন রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। আর তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।
এদিকে পঞ্চায়েত সমিতি, গ্রাম পঞ্চায়েত এমনকী জেলা পরিষদে জিততে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর তৃণমূলের থেকে বহু যোজন দূরে রয়েছে বিজেপি। এই ফলাফল অবশ্য প্রত্যাশিতই বলে মনে করেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তবে হিংসা না হলেই ভাল হতো বলে তিনি মনে করেন। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে কয়েকটি জায়গায় হিংসা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসেরই বেশি কর্মী খুন হয়েছেন। সেখানে হিংস🧔া নিয়ে বাবুলের মন্তব্য বেশ তাৎপর্যপূ্র্ণ। আজ, মঙ্গলবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল ঘোষণার মধ্যে বাবুল সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস এমনিতেই এই নির্বাচনে জিতত। যে কটি জায়গায় হিংসা হয়েছে সেটার দরকার ছিল না।’
অন্যদিকে আজকের এই ফলাফল অনেকটাই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার কর্মসূচির জন্য সম্ভব হয়েছে। বিরোধীরা এখন পরাজয়ের মুখে পড়ে সন্ত্রাসের অজুহাত খাঁড়া করছে। সেখানে বাবুলের কথায়, ‘প্রায় ৭০ হাজার বুথের মধ্যে ১০০টি বুথে গোলমাল হয়েছে। আর সেটাই সংবাদমাধ্যম ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখিয়েছে। আমি সংবাদমাধ্যমকে দোষ দিচ্ছি না। ৭০টি বুথে গোলমালের জেরে যদি ৪০টি প্রাণ যায় সেটাও আমা🌠দের বিড়ম্বনায় ফেলে।’ বিরোধীরা এখন বলার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে সন্ত্রাস হয়েছে। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস হিংসা নিয়ে সকলকে তোপ দাগছেন। এমনকী নয়াদি🧸ল্লি গিয়ে অমিত শাহের কাছে রিপোর্ট দিয়ে এসেছেন।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণ🦂নার দিন তীব্র বিস্ফোরণ ময়নায়, উড়ে গেল ব্যক্তির হাত
বিস্তারিত জানুন: পঞ্চায়েতের ফল প্রকাশ হতে না হতেই ভ💜োট পরবর্তী হিংসা বীরভূমে
আর কী বলেছেন বাবুল? তবে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য🌄 সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ এই সন্ত্রাসের পিছনে বিরোধীদের সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি করেছেন। আর বাবুল সংবাদমাধ্যমে বলছেন, ‘মমতাদিদি এবং অভিষেক অত্যন্ত দৃঢ় ভাষায় একাধিকবার বলেছিলেন, কোনও হিংসা বরদাস্ত করা হবে না। তবে বিরোধীরা নিজেরা চেয়েছিল গোলমাল হোক। তাহলে তৃণমূল কংগ্রেসকে কালিমালিপ্ত করা যাবে।’ তবে হিংসা নিয়ে নিজেদের কর্মীদেরকে দায়ী করেছেন বাবুল সুপ্রিয়। তিনি বলেন, ‘আমাদের নীচের তলার কর্মীদের বুঝতে হবে, মানুষের সামাজিক জীবনকে সহজ করতে মুখ্যমন্ত্রী যে প্রকল্পগুলি চালু করেছেন তাতে মানুষ খুশি। তাই এমনিতেই তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দেবেন। এই পরিস্থিতি তৈরি করার দরকার ছিল না’।