পঞ্চায়েত নির্বাচনের শুরু থেকে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা। আর রাজ্যপালও নানা জায়গায় ঘুরে বেরিয়ে যে মন্তব্য করছিলেন তা পরোক্ষে রাজ্য সরকার এবং তৃণমূল কংগ্রেসকেই দায়ী করে। কিন্তু এতকিছুর পরও গ্রামবাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের উপরই আস্থা রেখেছেন বলে মনে করেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। উত্তরবঙ্গ থেকে জঙ্গলমহল—সর্বত্র এখন ঘাসফౠুল ঝড় দেখা দিয়েছে। তবে এই নির্বাচন শেষ হতেই রিপোর্ট তৈরি করে নয়াদিল্লি ছুটে ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এবার তাঁকেই সরাসরি টুইট–বাণে বিদ্ধ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে নন্দীগ্রামে বিরোধী দলনেতা নিজের বুথে জয় পেয়েছেন। কিন্তু সামগ্রিক পূর্ব মেদিনীপুরের ফলাফলে যথেষ্ট সাফল্য আসেনি। যেমনটা তিনি দাবি করেছিলেন🐽। বরং তৃণমূল কংগ্রেসের জমিই সেখানে শক্ত হয়েছে। এমনকী দিলীপ ঘোষ, শান্তনু ঠাকুররা নিজেদের বুথেই প্রার্থীদের জেতাতে পারেননি। এই আবহে একযোগে রাজ্যপাল এবং বিরোধী দলনেতাকে আক্রমণ করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। আজ, বুধবার তিনি দুটি টুইট করেছেন। সেখানে💎ই একসঙ্গে দু’জনকে টুইট করে আক্রমণ করেছেন কুণাল।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্ত্রাসের বাতাবরণ কায়েম হয়েছে বলে🗹 অভিযোগ করেছিলেন রাজ্যপাল। তাই তিনি পিস রুম খুলেছিলেন রাজভবনে। তারপর নির্বাচন মিটতেই নয়াদিল্লিতে যান। সেখানে যাওয়ার আগে বলেছেন, মুক্ত বাতাস নিতে যাচ্ছি। সুতরাং বাংলার বাতাস খারাপ তা তিনি পরোক্ষে বুঝিয়েছিলেন। নির্বাচনের দিন এবং ফলাফলের দিন তিনি রাস্তায় নেমে গ্রাউন্ড জিরো রাজ্যপাল হওয়ার জন্য সচেষ্ট হন। তাঁর এই ভূমিকাকে বিরোধীদের সঙ্গে তুলনা করে কটাক্ষ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফলে বিপুল ভোটে জিতে গ্রামবাংলার দখল নিয়েই তাঁর পদত্যাগ দাবি করলেন কুণাল ঘোষ।
আরও পড়ুন: গণনাকেন্দ্রে ঢুকে বিরোধ🌊ীদের🦩 মারধর করার অভিযোগ, বিধায়ক লাভলি এখন ভিলেন
ঠিক কী টুইট করেছেন কুনাল? রাজ্যপাল–বিরোধী দলনেতার সমালোচনা করে দুটি টুইট করেন কুণাল ঘোষ। তিনি টুইটে লেখেন, ‘মানুষের এই রায় দেখার পর রাজ্যপালের আর পদে থাকা উচিত নয়꧒। অবিলম্বে পদত্যাগ করে বাংলা ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত। কারণ তিনি বিজেপির এজেন্ট হয়ে কাজ করেছেন। অনৈতিক পথে বিরোধীদের উস্কানি দিয়েছেন। বাংলাকে অপমান করেছেন। তাঁর কোনও অধিকার নেই রাজ্যপাল হিসাবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার।’ আর শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করে লেখেন, ‘লোডশেডিং বিধায়ক শুভেন্দু তো ‘ব্লক স্তরের নেতা’ হয়ে গেলেন! নন্দীগ্রাম সহ পূর্ব মেদিনীপুরে বেইমান বিধ্বস্ত। সুতরাং ১৯৫৬ ভোটে ভেসে ওঠা লোডশেডিং বিধায়ককে আবর্জনায় ফেলে দেওয়া উচিত।’