রাত পোহালেই ভোট। বাংলায় নৈহাটি, হাড়োয়া, মেদিনীপুর, তালডাংরা, সিতাই ও মাদারিহাটে উপনির্বাচন। গোটা বাংলা তাকিয়ে আছে এই ভোটের দিকে। এবারের ভোটের আগে আরজি কর ইস্যু। সেটা শে😼ষ পর্যন্ত কতটা প্রভাব ফেলল সেটাও দেখার। তবে ভোটের আগে তিন কৌতুহল নিয়ে হাজির তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।
'কৌতূহল ১:
ছয় বিধানসভা উপনির্বাচনে সিপিএমের ভোটাররা তাদের সমর্থিত প্রার্থীদের ভোট দেꦑবে নাকি অভ্যেসমত বিজেপিকে ভ🎶োট দেবে?
কৌতূহল ২:
ছ'টি আসনেই বামেরা তৃতীয় হবে, 🗹নাকি একটি, দুটিতে চতুর্থ স্থানেও ন🏅ামবে?
কৌতূহল ৩:
ছ'টি আসনেই তৃণমূল মানুষের আশীর্বাদে জিতবে নিশ্চিত, মার্জিনের ব্য🅺বধান কত শতাংশ বেড়ে যাবে?'
কুণাল ঘোষ একদিকে সাংবাদিক অন্যদিকে তিনি তৃণমূল নেতা। অনেকের মতে প্রথম কৌতুহলটা তিনি অত্যন্ত যুক্তিযুক্তভাবে তুলেছেন। সেই সঙ্গেই ভোটের আগে একটি জায়গা খুলে রাখলেন। অর্থাৎ কোথাও যদি বিজেপির ভোট বৃ্দ্ধি হয় তবে সেটা যে বামেদের দেওয়া ভোটেই হয়েছে অন্তত সেটা বলা যাবে। কার্যত সেই বিষয়টি অত্যন্ত সুকৌশলে তিনি জানিয়ে দিলে𒁃ন আগাম।
তব💛ে শেষ পর্যন্ত কার কতটা ভোট বাড়ল অথবা কমল বা একই থাকল তা আগামী দিনেই জানা যাবে। তবে কুণাল ঘোষের তিন কৌতুহল মেটানোর জন্য সেই ফলাফল বের হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে।
এদিকে বুধবার ভোট। বাংলার পাশাপাশি আরও বিভিন্ন রাজ্যে ভোট। রাজস্থানে সাতটি,🧸 পশ্চিমবঙ্গে ছ'টি, অসমে পাঁচটি, বিহারে চারটি, কর্ণাটকে তিনটি এবং মধ্যপ্রদেশে দুটি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। সেইসঙ্গে ছত্তিশগড়, গুজরাট, কেরল এবং মেঘালয়ে🍎র একটি করে আসনে উপ-নির্বাচন হচ্ছে। সিকিমের দুটি আসনেও ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুটি আসনেই বিরোধী প্রার্থীরা নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছেন শাসক দল সিকিম ক্রান্তিকারী মোর্চার প্রার্থীরা।
পশ্চিমবঙ্গের তালড্যাংরা, সিতাই, নৈহাটি, হাড়োয়া, মেদিনীপুর এবং মাদারিহাট বিধানসভা আসনে উপ-ন♔ির্বাচন হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে পাঁচটি আসন ছিল। আর বিজেপির হাতে ছিল শুধুমাত্র মাদারিহাট। মাত্র ছ'টি আসনে ভোট হলেও এবার উপনির্বাচনে আরজি করের প্রভাব কতটা পড়ল সেদিকে তাকিয়ে অনেকে। শহর ঘেঁষা এলাকার পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলের বুথে কি আদৌ এই প্রতিবাদ আন্দোলনের প্রভাব পড়বে? প্রতিবাদের আগুন কি ছাপিয়ে যেতে পারবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে? নানা প্রশ্ন রয়েছে। তার থেকেও বড় প্রশ্ন কতটা শান্তিপূর্ণ হবে এবারের ভোট? তৃণমূল কি ফাঁকা মাঠে গোল করবে নাকি দাগ কাটতে পারবে বাম- বিজেপি?