অরুণ দেব
কর্ণাটকে জয়ের পথে কংগ্রেস। কিন্তু প্রশ্ন একটাই কোন মন্ত্রে এভাবে🐎 বিজেপির মতো শক্তিকে কর্ণাটক থেকে সরিয়ে দিতে পারল কংগ্রেস? সেই ফ্য়া🍬ক্টরগুলি এবার দেখে নেওয়া যাক।
কংগ্রেস কর্মীদের চাঙা করা
প্রায় ১ বছর আগে থেকে কংগ্রেস ঘর গোছাতে শুরু করেছিল। একেবারে তৃণম💟ূলস্তর থেকে শুরু হয় কাজ। কর্ণাটকে কাবেরি নদীতে মেকেদাতু প্রকল্পকে লাগু করার দাবিতে ২০১৯ সালে প্রচুর মানুষকে একজোট করে ফেলেছিল কংগ্রেস। কেপিসিসি প্রেসিডেন্ট ডিকে শিবকুমার হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছিলেন, রাহুল গান্ধী একটা সময় বলেছিলেন মানুষকে একজোট করার জন্য কিছু একটা করতে হবে। সেই সময় মেকেদাতু পদযাত্রা শুরু করি। তবে তার ফলও পেয়েছিলাম আমর🍒া।
এআইসিসি সেক্রেটারি পিসি বিষ্ণুনাধ জানিয়েছেন, ওই পদযাত্রা সত্যি আমাদের দলে পরিবর্তন এনেছিল।🧸 এরপর ভারত জোড়ো যাত্রাও আমাদের অ🅰নেকটা সংগঠিত করেছে।
সুপরিকল্পিত প্রচার
প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার প্রচার করে বাজিমাত করার চেষ্টা করে কংগ্রেস। তারা প্রচার করতে থাকে ৪০ শতাংশ সরকার। অর্থাৎ কর্ণাটকে ঠিকাদারদের সংগঠন অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি নেতারা ৪০ শতাংশ কাটমানি🎀 খেয়ে নেয়। আর এই প্রচারটা এমন স্তরে নিয়ে যায় কংগ্রেস 🐼যে তার কোনও জবাব খুঁজে পায়নি বিজেপি।
এরপর PayCM লিখে শুরু হয় প্রচার। যেখানে মাঝে বোম্মাইয়ের মুখ। আর সেখানে ক্লিক করলেই দেখা যাচ্ছে 💙বিজেপির দুর্নীতি। এছাড়া একাধিক নিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে লাগাতার প্রচার করে কংগ্রেস। তারই ফসল𒈔 ঘরে তুলছেন রাহুল গান্ধী।
ভোটের প্রতিশ্রুতি
একাধিক নজরকাড়া প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কংগ্রেস। যেমন বেকারদের জন্য় ভাতা, পরিবারের মহিলার জন্য ২০০০ টাকা, ২০০ ইউনিট পর্যন্ত ফ্রিতে বিদ্যুৎ, গরিবদের 🧸জন্য ১০ কেজি করে চাল।
দলের দ্বন্দ্বকে কমিয়ে আনা
কর্ণাটকে কংগ্রেস মানেই ডিকে শিবকুমার ও সিদ্ধারামাইয়ার মধ্য়ে লড়াই। মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারের দাবিদার দুজনেই। কিন্তু ২০২২ সালে কংগ্রেস কর্ণাটকে একটা বাসযাত্রা বের করেছিল। আর তখন সুকৌশলে দুই নেতাকেই তারা একজায়গায় এনে ফেলে। আর ভা🍸রত জোড়ো যাত্রাতেও দেখা যায় দুই নেতা একেবারে কাছাকাছি, পাশাপাশি। আর এই ছবি একেবারে মন্ত্রের মতো কাজে লাগে। কংগ্রেস কর্মীদের কাছে চলে যায় ঐক্যের বার্তা। এতে আরও সংকটে পড়ে বিজেপি শিবির।
এ❀বার প্রশ্ন উঠছে কর্ণাটকে যে ফ্য়াক্টরগুলি কাজে লাগিয়েছিল কংগ্রেস সেটা কি বাংলায় লাগু করা সম্ভব? কারণ বাংলাতেও তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি দুর্নীতি। মানুষ বিকল্প রাস্তা খুঁজছেন। কিন্তু সেই রাস্তা কি দেখাতে পারবে কংগ্রেস?