গোয়াতে বড়সর জয়ের মুখে বিজেপি। ফের ক্ষমতায় ফেরার তোড়জোর শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। কার্যত গোয়া আর মণিপুরে একক বৃহত্তম দল হিসাবে গণ্য করা হচ্ছে বিজেপিকে। গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত জানিয়েছেন, গোয়ার মানুষকে ধন্যবাদ। গোয়ার জন্য আমাদের স্বংয়সম্পূর্ণ প্ꦿল্যান রেডি রয়েছে। আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাচ্ছি। নির্দল ও অন্যান্য দলও আমাদের কাছাকাছি আসছে। প্রধানমন্ত্রী উন্নয়ন প্রকল্প আমাদের সহায়তা করেছে। আমাদের দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। এতে আমরা খুশি।প্রচারে নেতৃত্ব দেও🏅য়ার জন্য দল আমার উপর ভরসা রেখেছিল, এতে আমরা খুশি। জানিয়েছেন প্রমোদ সাওয়ান্ত।
এদিকে এবার গোয়া নিয়ে আলাদা নজর ছিল রাজনৈতিক মহলের। প্রথম থেকেই এবার কৌশলী ছিল বিজেপি। এবার সাতজন বিধায়ককেও টিকিট দেয়নি বিজেপি। এই কৌশল কতটা কাজে দেবে তা নিয়েও জল্পনা চলছিল। এমনকী পানাজি আসনꦬে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পরিক্করের পুত্র উৎপলকেও টিকিট দেয়নি বিজেপি। তিনি নির্দল প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়েছিলেন। এদিকে পানাজি আসনে হাজারেরও কম ভোটে আতানাসিও মোনসেরাত্তের কাছে পরাজিত হয়েছেন উৎপল। তবে অল্প ভোটের ব্যবধানে এই জয় নিয়ে বিজেপির একাংশের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিজেপির বিজয়ী প্রার্থী। তিনি বলেন, উৎপল যদি এত ভোট পেয়ে থাকেন তার মানে ক্যাডারদের একাংশ তাঁকে সমর্থন করেছেন। তবে সর্বশেষ ফলাফল অনুসারে তৃণমূল একটি আসনও দখল করতে পারেনি গোয়ায়। আপ দুটি আসন পেয়েছে। রেভেলিউশনারি গোয়ান পার্টি পেয়েছে একটি আসন।
পঞ্জাবে বাজিমাত করেছে আপ। কিছুটা হলেও অপ্রত্য়াশিত এই জয়। ধরাশায়ী হয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের একাধিক হেভিওয়েট প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন। আর নিঃসন্দেহে এটা জাতীয় রাজনীতিতে বড় চমক। ১১🔯৭র মধ্যে আপের দখলে ৯২টি আসন। কার্যত পঞ্জাব থেকে উড়🦩ে গিয়েছে কংগ্রেস। আর পঞ্জাবে আপের এই বিপুল জয় নিয়ে মুখ খুললেন আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
তাঁর দাবি, মোবাইল রিপেয়ারিংয়ের দোকানের কর্মচারীর কাছে পরাজিত হয়েছেন পঞ্জাবের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী। আপের ওই প্রার্থীর মা সাফাইকর্মীর কাজ করেন। বাবা কৃষক। আর সেই প্রার্থীর কাছেই হেরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এটাই আপের শক্তি। যেদিন আপ উঠে দাঁড়াবে সেদিন বড় বড় ইনকিলাব চলে আসবে। কেজরিওয়াল আতঙ্কবাদী নয়, কেজরিওয়াল দেশভক্ত। আতঙ্কবাদী তোমরা, যারা সকলে মিলে দেশ লুঠ করছ। নতুন ভারত গড়ব। যেখানে একে অপরকে ভালোবাসবে, ঘৃণা নয়। এমন ভারত হবে যেখানে কেউ খালি পেটে ঘুমোবে না। আমাদের মা বোনেরা সুরক্ষিত থাকবেন। গরিব, বড়লোক সব🌟ার🐼 বাচ্চা ভালো শিক্ষা পাবে। এমন ভারত তৈরি হবে যেখানে অনেক মেডিকেল কলেজ হবে। এটা লজ্জার, স্বাধীনতার এত বছর পরেও ভারত থেকে ইউক্রেনের মতো ছোট দেশে মেডিক্যাল পড়তে যেতে হয়।
কেজরিওয়াল বলেন, দেশের সমস্ত মানুষকে আহ্বান করছি নিজের শক্তিকে চিনুন। উঠে দাঁড়ান। দেশের অন্দরে ইনকিলাব আনার সময় এসে গিয়েছে। ৭৫ বছর খারাপ করে দিয়েছে। সবাই আম আদমি পার্টিতে জয়েন করুন। আম আদমি পার্টি কোনও দলের নাম নয়। আম আদমি পার্টি ইনকিলাবের আর এক নাম♉। স্বপ্ন পূরণের নাম। এত বড় ভরসা করেছেন ಞমানুষ আমাদের উপর, আমাদের তাদের পাশে থাকতে হবে।
কর্মীদের উদ্দেশ্যে তাঁর আহ্বান, বার বার বলছি অহঙ্কার করবেন না। অন্যায় করবেন না। অনেকে গালিগালাজ করবে। আমাকেও গালি দিয়েছেন অনেকে। আমি না🐼কি সন্ত্রাসবাদী। গালির জবাব গালিতে নয়। আমাদের ভালোবাসার রাজনীতি আনতে হবে। সেবার রাজনীতি করতে হবে।