কয়েকদিন আগেই পটনাতে কংগ্রেস সহ দেশের তাবড় তাবড় বিরোধী দলগুলি বৈঠকে বসেছিল। বিজেপি বিরোধিতায় একজোট হয়ে নির্বাচনে লড়ার লক্ষ্যেই সেই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। কয়েকদিন পর শিমলাতে ফের মিলিত হবে সব দলগুলি। 'একের বিরুদ্ধে এক' ফর্মুলাতে লড়ে বিজেপিকে হারাতে চান বিরোধীরা। তবে এতে আসন বণ্টন নিয়ে রেষারেষি হবেই। তবে এই সবের মাঝেই ২০২৪ সালের লোকসভা নিয়ে নিজেদের জনমত সমীক্ষা প্রকাশ করল 'টাইমস নাও'। আর সেই সমীক্ষা অনুযায়ীꦿ, বিজেপি অনায়াসে ২০২৪ সালে ম্যাজিক ফিগার পার করবে। সমীক্ষায় রাজ্যভিত্তির ফলও দেওয়া হয়।
সমীক্ষা অনুযায়ী, বিহারে বিজেপি ২২ থেকে ২৪টি আসনে জিততে পারে। এদিকে জেডিইউ-আরজেডি মহাজোটের ঝুলিতে যেতে পারে ১৬ থেকে ১৮টি আসন। উত্তরপ্রদশে বিজেপি ৬৮ থেকে ৭২টি আসনে জয়লাভ করতে পারে। এই রাজ্যে কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে ๊পারে ১ থেক🅺ে ২টি আসন। সমাজবাদী পার্টি পেতে পারে বাকি আসন। এদিকে মহারাষ্ট্রে বিজেপি-শিণ্ডে জোটের ঝুলিতে যেতে পারে ২২ থেকে ২৮টি আসন। এদিকে এনসিপি, কংগ্রেস ও উদ্ধব ঠাকরের মহাবিকাশ অঘাড়ির ঝুলিতে যেতে পার ১৮ থেকে ২২টি আসন। এদিকে সমীক্ষা অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি পেতে পারে ১৮ থেকে ২০টি আসন। তৃণমূল পেতে পারে ২০ থেকে ২২টি আসন।
এদিকে ঝাড়খণ্ডে বিজেপি নাকি পেতে পারে ১০ থেকে ১২টি আসন। জেএমএম এবং কংগ্রেসের জোট পেতে পারে ২ থেকে ৪টি আসন। রাজস্থানে বিজেপির ঝুলিতে যেতে পারে ২০ থেকে ২২টি আꦆসন। কংগ্রেস পেতে পারে মাত্র ৩ থেকে ৫টি আসন। অপরদিকে দক্ষিণের তেলাঙ্গানায় কেসিআর-এর বিআরএস পেতে পারে ৯ থেকে ১১টি আসন। বিজেপি পেতে পারে ৩ থেকে ৫টি আসন। সমীক্ষা অনুযায়ী, এই রাজ্যে কংগ্রেসও পেতে পারে ২ থেকে ৩টি আসন। এদিকে জনমত সমীক্ষার দাবি, মধ্যপ্রদেশে বিজেপি পেতে পারে ২২ থেকে ২৪টি আসন এবং কংগ্রেস পেতে পারে ৫ থেকে ৭টি আসন।
এদিকে সমীক্ষা বলছে, ছত্তিশগড়ে বিজেপির ঝুলিতে যেতে পারে ৬ থেকে ৮ট🦂ি আসন এবং কংগ্রেস পেতে পারে ৩ থেকে ৫টি আসন। ওড়িশায় বিজেপি পেতে পারে ৬ থেকে ৮টি আসন। নবীন পট্টনায়েকের বিজেডি জিততে পারে ১২ থেকে ১৪টি আসনে। এদিকে কংগ্রেসেরও খাতা খুলতে পারে এই রাজ্যে। অপরদিকে অন্ধ্রে ওয়াইএসআরসিপি পেতে পারে ২৪ থেকে ২৫টি আসন। টিডিপি-র ঝুলিতে যেতে পারে শূন্য থেকে ১টি আসন। অপরদিকে কর্ণাটকে বিজেপি পেতে পারে ১৫ থেকে ১৭টি আসন। কংগ্রেস জিততে পারে ১০ থেকে ১২টি আসন। সমীক্ষা অনুযায়ী, তামিলনাড়ুতে ডিএমকে ১৮ থেকে ২২টি আসনে জয়লাভ করতে পারে। কংগ্রেস জিততে পারে ৮ থেকে ১০টি আসনে। এআইএডিএমকে জিততে পারে ৫ থেকে ৮টি আসনে। ওদিকে গুজরাটে ২৬টির মধ্যে সবকটি আসনই পেতে পারে বিজেপি। কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টিল ঝুলি শূন্য থাকবে এই রাজ্যে। হরিয়ানায় বিজেপি পেতে পারে ৬ থেকে ৮টি আসন। কংগ্রেস জিততে পারে ১ থেকে ৩টি আসনে। হিমাচলে বিজেপি ৩ থেকে ৪টি আসনে জিততে পারে। কংগ্রেস জিততে পারে শূন্য থেকে ১টি আসনে। এছাড়া উত্তরাখণ্ডে বিজেপি পেতে পারে ৪ থেকে ৫টি আসন। কংগ্রেসের খাতা খুললেও খুলতে পারে এই রাজ্যে।
এদিকে সমীক্ষা অনুযায়ী, গোয়ায় ১ থেকে ২টি আসনে জিততে পারে গেরুয়া শিবির। হাত শিবিরের ঝুলিতে একটি আসন আসলেও আসতে পারে এই রাজ্যে। এদিকে জম্মু ও কাশ্মীরে বিজেপি পেতে পারে ২ থেকে ৩টি আসন। কংগ্রেস পেতে পারে শূন্য থেকে ১টি আসন। ন্যাশনাল কনফারেন্স জিততে পারে ২ থেকে ৩টি আসনে। পঞ্জাবে বিজেপি জিততে পারে ১ থেকে ৩টি আসনে। আম আদমি পার্টির ঝুলিতে যেতে পারে ৪ থেকে ৬টি আসন। এদিকে কংগ্রেস সেই রাজ্যে পেতে পারে ৩ থেকে ৫টি আসন। অকালি দলের ঝুলিতেও আসতে পারে ১ থেকে ৩টি আসন। অসমে বিজেপি ৮ থেকে ১০টি আসনে জিততে পারে, কংগ্রেস জিতত🀅ে পারে ৩ থেকে ৪টি আসনে। উত্তরপূর্বের বাকি সব রাজ্য মিলিয়ে বিজেপির ঝুলিতে আসতে পারে ৪ থেকে ৬টি আসন। কংগ্রেস জিততে পারে ২ তেকে ৪টি আসনে। এদিক কেরলে নাকি এবার খতা খুলতে পারে বিজেপির। সমীক্ষা অনুযায়ী, কেরলে ১ থেকে ২টি আসন জিততে পার⛎ে বিজেপি। সিপিএম জিততে পারে ২ থেকে ৩টি আসনে। অপরদিকে কংগ্রেস পেতে পারে ১১ থেকে ১৩টি আসন। দিল্লিতে বিজেপি পেতে পারে ৬ থেকে ৭টি আসন। আম আদমি পার্টি পেতে পারে শূন্য থেকে ১টি আসন।
সমীক্ষা অনুযায়ী, সব মিলিয়ে বিজেপি ও তার শরিক দলগুলি দেশে ২৮৫ থেকে ৩২৫টি আসন জিততে পারে। ২০১৯ সালের বিশাল জয়ের তুলনায় ꦗএই আসন সংখ্যা অনেকটাই কম। তবে ম্যাজিক ফিগার পার করতে পারে গেরুয়া শিবির। এদিকে কংগ্রেস ও তার জোট শরিকরা ১১১ থেকে ১৪৯টি আসনে জয়লাভ করতে পারে। অপরদিকে আঞ্চলিক এবং অন্যান্য দলগুলি মিলিয়ে ৯১ থেকে ১২৫টি আসন দখল করতে পারে বলে দাবি করছে এই সমীক্ষা।