রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন উত্তরপ্রদেশ হল দিল্লি যাওয়ার রাস্তা, অর্থাৎ দিল্লিতে ক্ষমতায় আসতে গেলে উত্তরপ্রদেশে ভালো ফল করতে হবে। ২০১৪ ও ১৯ সালে উত্তরপ্রদেশে ভালো ফল করেছিল বিজেপি।সেই কারণে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে সমস্যা হয়নি। তবে এবার উত্তর প্রদেশে বিজেপি ভোটে ব্যাপক ধস নেমেছে। আসন সংখ্যা গতবারের চেয়ে প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। তার ফলে বিজেপি সব দলের থেকে বেশি ভোট পেলেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। নরেন্দ্র মোদী ভোট প্রচারে যাদের ‘শাহজাদা’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন সেই দুই শাহজাদা-অখিলেশ যাদব এবং রাহুল গান্ধীই এবার সেখানে বাজিমাত করেছেন। বিশেষ করে সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে যে রণকৌশল ঠিক করেছিলেন সেটাই কাজে দিয়েছে। নিজের যাদব সম্প্রদায় বাদে অন্যান্য ওবিসি এবং দলিতদের প্রার্থী করার রণকৌশলকে বেছে নিয়েছিলেন। অখিলেশের ‘পিডিএ’ বা ‘পিছড়ে’ (অনগ্রসর), ‘দলিত’, ‘꧒অল্পসংখ্যক’ (সংখ্যালঘু) ফর্মুলা কাজে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: এখন বিরোধী আসনে বসবে INDIA, পরে BJP-কে ফেলা🔜র চেষ্টা হবে, ইঙ্গিত খাড়গের
সমাজবাদী পার্টির যারা সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন তাদের অধিকাংশই ওবিসি, এসসি এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের। সবমিলিয়ে দলের ৮৬ শতাংশ সাংসদই হলেন এই সমস্ত সম𒐪্প্রদায়ের মানুষ। উত্তরপ্রদেশে ৮০ আসনের মধ্যে সমাজবাদী পার্টি ৩৭ টিতে জয়ী হয়েছে। তার মধ্যে দলের ২০ জন ওবিসি, ৮ জন এসসি এবং ৪ জন মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। সেখানে উচ্চবর্ণের সাংসদের সংখ্যা মাত্র ৪ জন। এর মধ্যে- ব্রাহ্মণ (সনাতন পান্ডে), বৈশ্য (রুচি বীর) এবং ভূমিহার (রাজীব রায়) মধ্যে থেকে একজন করে সাংসদ, আর ২ জন হলেন ঠাকুর (আনন্দ ভাদোরিয়া এবং বীরেন্দ্ඣর সিং) সম্প্রদায়ের।
মিরাট এবং ফৈজাবাদের মতো সাধারণ আসন থেকে এসসি প্রার্থী দিয়েছিল সমাজবাদী পার্টি। সমাজবাদীর দলিত প্র𒊎ার্থী অবধেশ প্রসাদ ফৈজাবাদ থেকে বিজেপির লাল্লু সিংকে ৫৪,৫৬৭ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন। মিরাটে দল সুনিতা ভার্মা নামে একজন দলিতকে প্রার্থী করেছিল। যদিও তিনি জয়ী হতে পারেননি। তবে বিজেপির অরুণ গোভিলের কাছে খুব কম ভোটের ব্যবধানে তিনি হেরেছেন। মার্জিন ছিল মাত্র ১০,৫০০।