নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত ব্যাপারে এখনও রা꧙জনৈতিক দলগুলির মধ্য়ে কাদাছোঁড়াছুড়ি, চ্যালেঞ্জ-পালটা চ্যালেঞ্জ একেবারে তুঙ্গে উঠেছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাহুল গান্ধীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন যে কংগ্রেসও এখন বাতিল হওয়া নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অর্থ ‘আদায়’ করেছেಞ, কারণ তিনি এই প্রকল্পটিকে ‘বিশ্বের বৃহত্তম তোলাবাজি প্রকল্প’ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে 'দুর্নীতির চ্যাম্পিয়ন' হিসাবে বারবার বর্ণনা করার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, 'তাদের (বিরোধী দল) দলগুলোও বন্ডের মাধ্যমে অনুদান পেয়েছে। এটাও কি তোলাবাজি? রাহুল গান্ধীর জনগণকে বলা উচিত, 'হღ্যাঁ, আমরাও তোജলাবাজি করেছি'। এনডিটিভিকে একটি ইন্টারভিউতে একথা জানিয়েছেন তিনি।
তিনি আরꦕও বলেন, সাংসদ সংখ্যার অনুপাতে বিরোধী দলগুলি যে অনুদান পেয়েছে, তা শাসক দল যা পেয়েছে তার চেয়ে অনেক বেশি।
তিনি বলেꦛন, 'তাদের (বিরোধীদের) কোনো ইস্যু নেই। আমাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো অভিযোগ নেই। তাই তারা বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। কিন্তু তাꦜরা সফল হবে না।
২০১৮ সালের জানুয়ারিতে নরেন্দ্র মোদী সরকার চালু করেছিল নির্বাচনী বন্ড এমন একটি প্রকল্প যার মাধ্যমে সংস্থাগুলি বা ব্যক্তিরা দাতাদের পরিচয় প্রকাশ না করেই রাজনৈতিক দলগুলিকে তহবিল দিতে পারে। তবে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্ট এই প্রকল্পটিকে 'অসাংবিধানিক' বলে রায় দেয় এবং তা খারিজ করে দেয়।
ꦆযে স্টেট ব্যাঙ্কের মাধ্যমে বন্ড কেনা হয়েছিল, সেই স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে (এস♔বিআই) এই প্রকল্প সম্পর্কিত তথ্য সরবরাহ করার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কাজ করে নির্বাচন কমিশন তাদের ওয়েবসাইটে বিস্তারিত আপলোড করে দেখায় যে ৮২৫১ কোটি টাকার তহবিল নিয়ে বিজেপি সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী হয়েছে, যার মোট অর্থের প্রায় ৫০% (১৬,৫১৮ কোটি টাকা) রয়েছে। এরপরেই রয়েছে কংগ্🀅রেস (১৯৫২ কোটি), তার পরেই রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস (১৭০৫ কোটি টাকা)।
তথ্য থেকে আরও জানা গেছে যে এই সংস্থাগুলির মধ্যে কয়েকটি কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির বিরুদ্ꦰধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, যার ফলে অভিযোগ উঠেছে যে ক্ষমতাসীন বিজেপি তাদের অনুদান দিতে বাধ্য করেছে এবং তাই তারা অর্থদান করতে বাধ্য় হয়েছে।
সব মিলিয়ে নির্বাচনী বন্ডকে কেন্দ্র করে এবার রাহুল গান্ধীকে একেবারে খোলা চ্যালেঞ্জ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা♐হ। সরাসরি রাহুলকে নিশানা করে পালটা তোপ দাগেন তিনি।