জলপাইগুড়, আলিপুরদুয়ারে টর্নেডো বিধ্বস্তদের বাড়ি তৈরির জন্য অনুদান দিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশন অনুমতি দিচ্ছে না বলে মিথ্যা প্রচার 🔯করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক। সোমবার সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রমাণসহ এই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের লেখা চিঠি প্রকাশ করে শুভেন্দুবাবু মমতা ও অভিষেককে🔴 তীব্র আক্রমণ করেছেন। প্রশ্ন তুলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে ঠিক কতটা বোকা মনে করে তৃণমূল।
সোমবার এক পোস্টে শুভেন্দুবাবু লেখেন, ‘আপনি কিছু মানুষকে চিরকালের জন্য, আর সমস্ত মানুষকে কিছুদিনের জন্য বোকা বানাতে পারেন। কিন্তু সব মানুষকে চিরদিনের জন্য বোকা বানানো সম্ভব নয়। রাজ্যের💛 ২ প্রথিতযশা প্যাথলজিক্যাল ও জন্মগত মিথ্যাবাদী মনে করেন, তারা অনর্গল মিথ্যা বলে যাবেন আর পশ্চিমবঙ্গের মানুষ তাকে বেদবাক্য বলে মনে করবে। তারা💧 মুর্খের স্বর্গে বাস করছেন।
জাতীয় নির্বাচন কমিশন, ৯ এপ্রিল ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণকে আদর্শ আচরণ বিধির বাইরে বলে ঘোষণা করেছে। ৯ এপ্রিলই রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়ে একথা তারা স্পষ্ট করে দিয়েছিল যাতে ময়নাগুড়ি, জলপাইগুড়ির ট🐻র্নেডো বিধ্বস্ত মানুষরা যত দ্রুত সম্ভব মাথার ওপর ছাদ তৈরি করতে টাকা পেতে পারেন।
বিপর্যয় ম🧸োকাবিলা ও অসামরিক প্রতিরক্ষায় অনুদানে অর্থ বরাদ্দ করতে কোথাও কোনও বাধা নেই। আর যে টাকার একটা বড় অংশ দেয় কেন্দ্রীয় সরকার।
কেন্দ্রীয় সরকার দুর্গতদের জন্য ইতিমধ্যে অর্থ পাঠিয়ে দিলেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে পিসি - ভাইপো জাতীয় নির্বাচন কমিশন ও কেন্দ্রীয় সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে ব্যস্ত। কিন্তু তারা এই ইস্যুতে নিয়ে মানুষের ভোগান্তি বাড়িয়ে রাজনৈতিক ফয়দা তোলাই বুদ্ধিমানের কাজ বলে মনে করেছে’। সঙ্গে রাজ্য সরকারকে কমিশনের লেখা ২টি চিঠি ও ১২ এপ্রিল এই নিয়ে অভিষেক ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য তুলে ধরেছেন তিনি।
গত ৩১ মার্চ বিকেলে জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে বিধ্বংসী টর্নেডো দেখা যায়। ঝড়ের তাণ্ডবে ৫ জনের মৃত্যু হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রায় ৫ হাজার বাড়ি। সেই রাতেই টর্নেডো বিধ্বস্ত এলাকায় পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তাঁর সফরের পরেও ত্রাণ পৌঁছয়নি বলে অভিযোগ করেন দুর্যোগকবলিত মানুষরা। ওদিকে মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, আদর্শ আচরণবিধি লাগু থাকায় রাজ্য সরকার ইচ্ছা থাকলেও ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলি তৈরি করে দিত♛ে পারছে না।