আইপিএস অফিসার নন, তারপরও কয়েকজনকে আইপিএসের জন্য সংরক্ষিত পদে বসানো হয়েছে। এমনই অভিযোগ তুলেছিলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দাবি করেছিলেন যে নির্বাচন কমিশনের নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়েছে। যদিꦡও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, শুভেন্দু যে অভিযোগ করেছেন, সেটা পুরোপুরি মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর। রাজ♒্য পুলিশের অফিসারদের নিয়োগের ক্ষেত্রে অমিত শাহের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের যাবতীয় নিয়ম পালন করা হয়েছে। যদিও কমিশনের যে নির্দেশের কথা বলেছিলেন শুভেন্দু, তা নিয়ে রাজ্য পুলিশের তরফে সরাসরি কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
রাজ্য পুলিশের তরফে ঠিক কী বলা হয়েছে? শনিবার রাতের দিকে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম 'এক্স'-এ পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, 'এই টুইটে (শুভেন্দুর টুইট রিটুইট করে) যে দাবি💖 করা হয়েছে, তা মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নিয়ম মেনেই ꧙যাবতীয় কাজ করা হয়েছে।'
শুভেন্দুর টুইটে কী অভিযোগ করা হয়েছিল? শনিবার বিকেলে শুভেন্দু লিখেছিলেন, ‘২০২৪ সালের ২১ মার্চ জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশন সব রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে যে পুলিশ সুপার এবং স্পেশাল পুলিশ সু📖পার পদে থাকা সমস্ত নন-ক্যাডার অফ♏িসারকে অবিলম্বে বদলি করে দিতে হবে এবং কমিশনের কাছে রিপোর্ট পাঠাতে হবে। পুলিশ সুপারের পদটা ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিসের ক্যাডারের অফিসারদের জন্য সংরক্ষিত থাকে।’
সেইসঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে শুভেন্দু দাবি করেছিলেন, তালিকায় যে যে অফিসারদের নাম উল্লেখ করেছেন, তাঁরা আইপিএস নন। কিন্তু তাঁদের আইপিএসের জন্য নির্দিষ্ট পদে বসিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে𓄧র সরকার। শুভেন্দু তালജিকা অনুযায়ী, মালদা রেঞ্জের ইনস্পেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ (আইজিপি) দীপনারায়ণ গোস্বামী, সিআইডির ডেপুটি ইনস্পেক্টর জেনারেল (ডিআই) শঙ্খশুভ্র চক্রবর্তী, গোয়েন্দা বিভাগের ডিআইজি রমেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, গোয়েন্দা বিভাগের ডিআইজি (সীমান্ত) সুমনজিৎ রায়দের যে পদে বসানো হয়েছে, সেই পদে আইপিএস অফিসারদের নিয়োগ করতে বলেছে কমিশন।
সেইসঙ্গে শুভেন্দুর তালিকায় সিআইডির ডিআইজি সোমা দাস মিত্র, বর্ধমান রেঞ্জের ডিআইজি শ্যাম সিং, বারা🐽সত রেঞ্জের ডিআইজি ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, সিআইডির ডিআইজি তরুণ হালদার, কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য, জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার আনন্দ রায়, শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের (সদর দফতর) ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) তন্ময় সরকার, বীরভূমের পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়, পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার রাহুল গোস্বামী, কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার শুভঙ্কর সিনহা সরকার এবং দুর্নীতি-বিরোধী শাখার ডিআইজি অঞ্জন চক্রবর্তীর নামও ছিল।