তোলাবাজ ও দুর্নীতিগ্রস্তদের অবাধ সন্ত্রাসের লাইসেন্স দিতে চায় তৃণমূল। তাতে বাধা দেওয়াতেই বাংলায় কেন্দ্রীয় এজেন্সির ওপর বারবার হামলা হচ্ছে। রবিবার জলপাইগুড়িতে বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায়ের সমর্থনে জনসভা থেকে এই দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দি☂য়ে তিনি বলেন, ৪ জুনের পর দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ করবে তাঁর সরকার।
তৃণমূল আইন ও সংবিধানকে ধ্বংস করার দল
এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তৃণমূল চায়, তাদের তোলাবাজদের, দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের আবাধ সন্ত্রাসের লাইসেন্স দেওয়া হোক। তাই যখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থারা আসে তখন তৃণমূল তাদের ওপর হামলা করে। অন্যদের দিয়ে হামলা ജকরায়। তৃণমূল আইন ও সংবিধানকে 🎀ধ্বংস করার দল’।
এর পরই সন্দেশখালি প্রসঙ্গ তোলেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘সন্দেশখালিতে কী হয়েছে তা গোটা দেশ জানে। সে মা - বোনেদের ওপর কী জঘন্য অত্যাচার হয়েছে তা গোটা দেশ দেখেছে। পরিস্থিতি এতটাই খ♊ারাপ যে এখানে সমস্ত বিষয়ে আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছে। এখানে চারিদিকে তৃণমূলের সিন্ডিকেটরাজ চলছে। মানুষ অত্যাচার সহ্য করতে বাধ্য হচ্ছে। সন্দেশখালির অপরাধীদের কি কঠরোতম সাজা হওয়া উচিত? তাদের বাকি জীবন কি জেলে কাটা উচিত? রেশন দুর্নীতি, নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্তদের শাস্তি হওয়া উচিত’?
টাকা ফেরানোর প্রতিশ্রুতি
এদিন আরও একবার সরকারি চাকরির জন্য টাকা দিয়ে প্রতারিতদের টাকা ফেরানোর কথা দেন মোদী। বলেন, ‘আমি আজ বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে গ্যারান্টি দিচ্ছি, যারা দুর্নীতি করে টাকা আয় করেছে ED তাদের প্রায় ৩০০০ কোটি 📖টাকার সম্পত্তি অ্যাটাচ করেছে। আমি আইনি পরামর্শ নিচ্ছি। শিক্ষক নিয়োগ ও সরকারি নিয়োগ দুর্নীতিতে যাদ💖ের টাকা লুঠ হয়েছে তাদের মধ্যে যারা টাকা দিয়েছেন বলে প্রমাণিত হবে, তাদের টাকা আমি ফেরত দেওয়াব’।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ মোদীর গ্যারান্টি
এদিনের সভা থেকে তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তৃণমূল, বাম ও কংগ্রেস ইন্ডি জোটের সদস্য। এরা একে অপরের দুর্নীতিকে ঢাকতে নেমে༒ছে। আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি ৪ জুনের পর আমাদের সরকার দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে আরও পদক্ষেপ করব। এটা মোদীর গ্যারান্টি।
তিনি বলেন, ‘আমি চাই সরকারি প্রকল্পের সুবিধার🐬 টাকা সরাসরি সাধারণ মানুষের কাছে যাক। কিন্তু তৃণমূল বলে তাদের হাতে ওই টাকা তুলে দিতে হবে। দুর্নীতিগ্রস্তদের হাতে গরিব মানুষের প্রাপ্য টাকা কি আমার তুলে দেওয়া উচিত? কখনওই না। গরিবের টাকা আমি তৃণমূলকে লুঠ করতে দেব না।’