আধার কার্ড বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। প্রয়োজনীয় নথিও মিলছিল না। সিএএ চালু হাওয়ার পর নাগরিকত্ব চলে যাওয়ার আতঙ্কে ভুগছিলেন নেতাজি নগরের যুবক দেবাশিস সেনগুপ্ত। সেই আতঙ্কে তিনি অত্যাহত্যা করেন বলে অভিযোগ। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় প্রচারে গিয়ে সেই যুবকের মৃত্যু প্রসঙ্গ তুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যা🍷য়। মঞ্চ থেকে নিশানা করলেন বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
শুক্রবার কাটোয়া স্টেডিয়ামে নির্বাচনী সভায় তিনি বলেন, ‘সিএএ আইন পাশ হল ২০১৯ সালে। আর তা লাগু হতে পাঁচ বছর সময় লেগে গেল? এটা জুমলা ছাড়া কী? সিএএ নোটিফিকেশন আরও একটা জুমলা। আমি কেন বলছি এটা জুমলা। নোটিফিকেꦅশনের চল্লিশের মধ্যে ৩৮ পাতা ফর্ম। কোথায় যাবেন, কার কাছে ফর্ম জমা দেবেন, তা বলা নেই। সিএএ-এর জন্য অসমে ১২ লক্ষ হিন্দু বাঙালি এনআরসির কবলে পড়েছেন। ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডের ৩৩ বছরে তরতাজা যুবকের প্রাণ গিয়েছে। কাগজ খুঁজে পাচ্ছে না বলে আত্মহত্যা করেছেন। আপনাকে পাসপোর্ট দেখিয়ে প্রমাণ করতে হবে। বাংলাদেশ, পাকিস্তান নাকি আফগানিস্তানের পাসপোর্ট আছে তা দেখাতে হবে। এটা জুমলা। আমি বলব জুমলার ফাঁদে পা দেবেন না।’
আরও পড়ুন। ‘নিউ এজ’ প্রচার, বিজেপির বিরুদ্🅷ধে ‘শপথ নেওয়ার’ বিশেষ পোর্টাল আনল তৃণমূল
নেতাজিনগরে যুবকের আত্মহত্যার খবর ছড়িয়ে পড়তেই তার মাসির বাড়িতে যান তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই দলে ছিলেন যাদবপুর কেন্দ্রের প্রার্থী সায়নী ঘোষও। তাঁর মဣৃত দেবশিসের বাবার সঙ্গে কথাও বলেন। 💎তিনি জানান, সিএএ চালু হওয়ার পর থেকে আতঙ্কে ভুগছিলেন তাঁর ছেলে। সেই দুশ্চিন্তার কথা প্রায়শই বলতেন দেবাশিস।