লোকসভা নির্বাচনে সুরাট আসন নিয়ে জোর চর্চা চলছে। এই আসনেইꦆ কংগ্রেস প্রার্থী নীলেশ কুম্ভানির মনোনয়ন বাতিল করেছিল নির্বাচন কমিশন। তারপর অন্যান্য বিরোধী প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় সেখানে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে বিজেপি। তার পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী নীলেশ কুম্ভানি। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপির সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ উঠেছিল। এবার সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে ৬ বছরের জন্য দল থেকে সাসপেন্ড করল কংগ্রেস।
আরও পড়ুনঃ বিকল্প প্রܫার্থী দিয়েও কাজ হল না♌, সুরাটে আবারও কংগ্রেস প্রার্থীর মনোনয়ন খারিজ
নীলেশের মনোনয়ন ব🔯াতিল হয়েছিল গত ২২ এপ্র𝓡িল। তাঁর মনোনয়নপত্রে প্রস্তাবকদের নকল স্বাক্ষর ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছিল। পরে নীলেশের প্রস্তাবকেরাও স্বাক্ষর তাঁদের নয় বলে জানান। ফলে জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর থেকে নীলেশের মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়। একইভাবে, সুরাট থেকে কংগ্রেসের বিকল্প প্রার্থী সুরেশ পদশালার মনোনয়নপত্রও বাতিল করা হয়। এরপর একে একে অন্যান্য বিরোধিতা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নয়। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন বিজেপির মুকেশ দালাল। অভিযোগ, ওঠে বিজেপি সঙ্গে পরিকল্পনা করেই ইচ্ছাকৃতভাবে এই কাজ করেছিলেন নীলেশ।
এই ঘটনায় গুজরাট প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির ডিসিপ্লিনারি প্যানেল কুম্ভানির কাছে ব👍্যাখ্যা চাওয়ার জন্য উপস্থিত হতে বলেছিল। কিন্তু, তিনি দলের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। তাই শেষপর্যন্ত বিজেপির সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে ৬ বছরের জন্য বরখাস্ত তাঁকে বরখাস্ত করা হয়।
উল্লেখ্য, সুরাট আসন থেকে মনোনয়ন বাতিল হওয়ার পর থেকে সামনে আসেননি নীলেশ কুম্ভানি। এমনকী কংগ্রেস নেতারাও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। এই অভিযোগ ওঠার পরেই কুম্ভানির বাড়ির বাইরে বিক্ষোভ করেন কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। অভিযোগ ওঠে, বিজেপির নির্দেশে তিনি এই কাজ করেছেন এবং এরজন্য তিনি বিজেপির ☂কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়েছেন।
এই অবস্থায় নীলেশ যে কোনও সময় বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলেও জল্পনা শুরু হয়। যদিও নীলেশের স্ত্রী এই সমস্ত অভিযোগ ও দাবি অস্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন, নীলেশ বিজেপির কাছ থেকে টাকা নেননি বা তিনি কখ✱নও বিজেপিতে যোগ দেবেন না।
অন্যদিকে, কুম্ভানিকে সাসপেন্ড করার পরেই তিনি একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করে কংগ্রেসে প্রতি নিজের আনুগত্য প্রকাশ করেছেন। তিনি নিজেকে কংগ্রেসের একজন সৈ𝔍নিক বলেও দাবি করেছেন। যদিও তাঁর কথায় গুরুত্ব দিতে নারাজ কংগ্রেস নেতৃত্ব।