দেবাংশু ভট্টাচার্য। তমলুকের তৃণমূল প্রার্থ🌠ী। তিনি আচমকা একটা পোস্ট করেছেন এক্স হ্যান্ডেলে। সেখানে তিনি লিখেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তুমি কত টাকায় বিক্রি হও? এক্স হ্যান্ডেলে এই পোস্টের প্রথমের এই লাইনটি পড়ে চমকে উঠছেন অনেকে൲ই। আসলে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের কথা টেনে তাঁর এই পোস্ট।
তবে এখানেই শেষ নয়। দেবাংশু আরও লিখেছেন,এর আগে সন্দেশখালি মহিলাদের মর্যাদাকে দাম দিয়ে নির্ধারন করার চেষ্টা করেছিল আর এখন দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্য়মন্ত্রীর জন্য় দাম নির্ধারন করছে। বাংলার মহিলারা তাদের প্রিয়꧃ দিদির প্রতি এই বার বার আক্রমণের প্রতিশোধ নেবেন। এরপর তিনি তৃণমূলের একটা পোস্টকে শেয়ার করেছেন। সেখানে লেখা হয়েছে, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় শালীনতার সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছেন। তিনি ভারতের একমাত্র মহিলা মুখ্য়মন্ত্রীর আর্থিক দাম ঠিক করার চেষ্টা করছেন। তিনি শুধু একথা বলে তাঁকে( মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়)কে অপমান করছেন না, গোটা বাংলার মহিলাদের অপমান করছেন।
‘বাংলায় এই ঘৃণার ও নারী বিরোধীর এজেন্টদের কোনও স্থান নেই। আমাদের মা বোনেরা এটা সহ্য করবে না।ꦇ আমরা এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করছি।’ নির্বাচন কমিশনকে এনিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে তৃণমূল।
জমে উঠেছে ভোটের লড়াই। একে অপরকে নিশানাཧ করে তির ছুঁড়ছেন। তমলুকে দেবাংশুর বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন প্রাক্তন বিচা🃏রপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়।
কিন্তু ঠিক কী বলেছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়? কোন প্রসঙ্গে তিনি একথা বলেছিলেন?
সಌূত্রের খবর সম্প্রতি হলদিয়ার চৈতন্যপুরে সভা করতেই গিয়ে রেখা পাত্রের কথা টেনে এনে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আক্রমণ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি বলেছিলেন, ‘রেখা পাত্রকে কেনা হয়েছিল ২০০০ টাকায়! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তুমি কত টাকায় বিক্রি হও? তোমার হাতে ৮ লাখ টাকা গুঁজে দিলে একটা চাকরি দাও। তোমার হাতে কেউ ১০ লাখ টাকা দেয় আর রেশন হাওয়া করে দেয় অন্য দেশে। ভারতেই থাকে না সেই রেশন। তোমার রেট ১০ লাখ টাকা কেন? তুমি কেয়া শেঠকে দিয়ে মুখে মেকআপ করো বলে? রেখা পাত্র গরিব মানুষ। লোকের বাড়িতে কাজ করে। আমাদের প্রার্থী। মমতা বন🌞্দ্যোপাধ্যায়ের মতো সুন্দরী নন। সেজন্য তাকে ২০০০ টাকায় কেনা যায়? একজন মহিলা হয়ে অন্য এক মহিলা সম্পর্কে কী করে ওই উক্তি করতে পারেন।’
সেই সময় তৃণমূল কংগ্রেসꦚ নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার জানিয়েছিলেন, ‘অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের উচিত নিজেকে একবার আয়নার সামনে দাঁড় করানো। তিনি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির চেয়ারটা কলঙ্কিত করেছেন। বিচারপতির চেয়ারে বসে পয়সা নিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীর কাছ থেকে। সেই মতো রায়ও দিয়েছেন। আজ এটা প্রমাণিত।…
আর অভিজিতে🐻র সেই কথাকে টেনে নিয়েই পালটা খোঁচা দিলেন দেবাংশু।