সমস্ত পরিস্থিতিতে দলের প্রতি আনুগত্য থ💦াকলে যে কতবড় প্রাপ্তি হতে পারে তা হয়তো এতদিনে বুঝতে পারলেন তৃণমূলের আইটি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য। তমলুক আসন থেকে এবার দলের প্রার্থী হয়েছেন তিনি। ২০২১ সালে প্রার্থী হতে না পারার যে যন্ত্রণাটা ছিল, সেটাই এবার যেন পুষিয়ে দিলেন নেত্রী। তাকে প্রার্থী করা হয়েছে তমলুক থেকে। আর তমলুকে দাঁড়াতে পারেন বিজেপির অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নিঃসন্দেহে কঠিন লড়াই হবে এখানে।
কিন্তু এই যে প্📖রার্থী পদ পꦺ্রাপ্তি। এরপর কঠিন লড়াইয়ের মুখে চলে যাওয়া… কেমন লাগছে দেবাংশুর?
এবিপি ไআনন্দে মুখ খুলেছিলেন তিনি। দেবাংশু জানিয়েছেন, সব রাজনৈতিক দল যাঁরা তমলুকে লড়াই করবে তাঁদের উদ্দেশে বলব একটা শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ভোট হোক। এটাই চাইব। আমরা কাজের উপর ভোট চাই। মানুষের কাছে। একজন সাংসদ হিসাবে তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের জন্য কী কাজ করতে পারব সেই বার্তা থাকবে মানুষের প্রতি।
তমলুক। রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর♓ প্রভাব এখানেও কিছু 🉐কম নয়। সেখান থেকেই প্রার্থী হচ্ছেন দেবাংশু। তবে কি শক্ত আসনে ইচ্ছে করেই দেবাংশুকে ঠেলে দেওয়া হল?
এদিকে একদিকে যেমন রবিবার থেকে দেবাংশুর নামে দেওয়ার লিখন শুরু হল তেমনি তমলুকে অভিজিཧৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের নামেও দেওয়াল লিখন শুরু হয়েছে। তবে তাঁর নাম এখনও প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করা হয়নি। তবে তাঁর বিরুদ্ধে দে𝐆বাংশু কতটা শক্ত প্রতিপক্ষ তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। কেমন অনুভূতি হচ্ছে দেবাংশুর?
সংবাদমাধ্যমে দেবাংশু বলেন, হালকা উত্তেজনা তো রয়েছেই। জীবনে প্রথম লড়াই লড়ছি। সবথেকে বড় লড়াইটা। আমি গোটা রাজ্যে কাজ করেছি। গত বিধানসভা নির্বাচনে যদি জেলা হিসাবে বলা হয় তবে পূর্ব মেদিনীপুরে সবথেকে বেশি কাজ করেছি। মানুষের গড়, কোনও ব্যক্তি বা পরিবারের গড় হতে পারে না। আমার ধারণা মানুষ স্বাদ বদলাতে চাইছেন। আমার বিপরীতে যে প্রার্থীরা থাকবেন তাদের জন্য ও শুভেচ্ছা থাকবে। দুদিন আগে ৬১ বছরের একজন সদ্য রাজন𓆏ীতিতে যোগ দেওয়া ব্যক্তি বেশি তাড়াতাড়ি মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারবেন নাকি ৫ বছর ধরে রাজনীতির ময়দানে কিছু কিছু শিক্ষা নিয়ে ২৮ বছরের যুবক দ্রুত দৌড়ে গিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারবেন? এই বিচারটা মানুষের উপর ছেড়ে দেওয়া ভালো। জানিয়েছেন দেবাংশু।