লোকসভা নির্বাচনের ভোটগণনা এগোচ্ছে ততই গোটা দেশের সঙ্গে রাজ্যেও স্পষ্ট হচ্ছে দেওয়াল লিখন। সমস্ত বুথফেরত সমীক্ষাকে ভুল প্রমাণ করে রাজ্যে কার্যত ভরাডুবি হতে চলেছে বিজেপির। যে রাজ্য থেকে ৩০টি আসনের আশায় বুক বেঁধেছিলেন অমিত শাহ, সেখানে গেরুয়া ব্রিগেডকে থামতে হচ্ছে ১০এর কাছাকাছি। আর তাতেই বিজেপির অন্দরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্ব নিয়ে। রাজ্য বিজেপিতে শুভেন্দুর একচ্ছত্র আধিপত্যের বিরুদ্ধে মুখ খুল🌼তে শুরু করেছেন দিলীপ ঘোষের অনুগামীরা। ফলে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য বিজেপির অন্দরে বড় র🌜দবদলের সম্ভাবনাও দেখছে তারা।
আরও পড়ুন - ভাঙড়ে গভীর রাতে বোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণ, আহত ISFএর পঞ্চায়েত🧜 সদস্যসহ ৫
পড়তে থাকুন - গ෴ণনাকেন্দ্র ছাড়বেন না, রা❀জ্যে BJPর সরকার আসছে, দলীয় কর্মীদের বার্তা সুকান্তর
বিজেপির একাংশ মনে করছে, রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই ও প্রচারে শুভেন্দুকে খোলা হাত দিয়ে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে শুভেন্দুকে দলের মুখ করে তুলতে চেয়েছিল ♛তারা। আর সেই সুযোগে অভিষেক ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যা𝄹য়ের প্রতি ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে শুভেন্দু এমন সব কথা বলেছেন যা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি। যার ফলে সহানুভূতি ভোট পেয়েছে তৃণমূল।
বিজেপির একাংশ মনে করছে, প্রার্থী বাছাইয়েও যে ভাবে শুভেন্দুর মতকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে তারও ফল ভুগতে হয়েছে বিজেপিকে। শুভেন্দুর জেদেই মেদিনীপুর থেকে সরিয়ে দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে বর্ধমান দুর্গাপুরের মতো আসন থেকে প্রার্থী করতে হয়েছে। যে আসনে গত লোকসভা নির্বাচনে কয়েক হাজার ভোটে 🐬জিতেছিল বিজেপি।
শুধু তাই নয়, শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অগ্নিমিত্রা পালকে দাঁড় করানো হয়েছিল মেদিনীপুর থেকে। ভূমিপুত্রের এই অপমান মেনে নেননি মেদিনীপুরের বাসিন্দারা। যার ফলে বড় ব্যবধানে জয়ের অপেক্ষায় জুন মালিয়া। শুধু তাই নয়, শুভেন্দুর বাছাই করা যে সমস্ত বিধায়কদের টিকিট দেওয়া হয়েছিল তারা প্রত্যেকেই হারের অপেক্ষা𒅌য়🔥। একমাত্র রায়গঞ্জের প্রার্থী কার্তিকচন্দ্র পাল জয়ের দিকে এগোচ্ছেন। ওদিকে অধিকারীদের কেল্লা বলে পরিচিত কাঁথি ও তমলুকে তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির টক্কর চলছে সমানে সমানে।
আরও পড়ুন - ডায়মন্ড হারবারে গণনাকেন্দ্রে বিরোধীদের মারধর - হ꧒ুমকির অভিযোগ, গণনা বয়কট বাম-BJPর
বিজেপির একাংশ♈ের মতে, এই নির্বাচনের পরে রাজ্য বিজেপি শুভেন্দুরাজ শেষ হতে চলেছে। কেন্দ্রের বিজেপি নেতারা বুঝতে পারবেন, শুধু তৃণমূল থেকে যোগদান করা নেতাদের দিয়ে দলকে পশ্চিমবঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে না। যারা দল থেকে ২ থেকে ১৮ করেছিলেন তাদের জনপ্রিয়তাও নেহাত কম নয়।