দলত্যাগ এখ𓂃ন যেন জলভাত হয়ে গিয়েছে। কে কখন কোন দলে থাকছেন সেটা বোঝাটাই এখন দায়। আজ যিনি সবুজে, কালই তিনি চলে যাচ্ছেন গেরুয়ায়। উলটোটাও হচ্ছে। তবে এবার দলত্যাগীদের জন্য় কড়া বার্তা দিলেন খোদ দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা।
তিনি রবিবার বাংলায় নির্বাচনী প্রচারে এসেছিলেন। রানাঘাটের বౠগুলায় দলীয় প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের সমর্থনে আয়োজিত সভায় তিনি বলেন, আমাদের এখানে আসার রাস্তা খোলা। কিন্তু যাঁরা চলে গিয়েছেন, তাঁদের জন্য় ফেরার রাস্ত𒁃া খোলা নেই। এটা মনে রাখতে হবে।
তবে নড্ডার এই বক্তব্যকে ঘিরে অবশ্য জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজনৈতির মহলের মতে, একাধিক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে যে বিজেপি থেকে তৃণমূলে যাচ্ছেন আবার তৃণমূল থেকে টুক করে সুযোগ বুঝে বিজেপিতে চলে আসছেন এমন ভুরি ভুরি নজির রয়েছে। সেক্ষেত্রে তখন কেন বিজেপি তাদের জন্য় দরজা খুলে রাখে? অর্জুন সিংয়ের ক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছে তিনি তৃণমূল থেকে বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন। আবার সেখান থেকে তিনি তৃণমূলে চলে যান। পরে আবার ভোটের꧃ মুখে তিনি তৃণমূল থেকে চলে এলেন বিজেপিতে। সেক্ষেত্রে কেন সেই সময় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তা নিয়ে কোনও আপত্তি তোলেন না সেই প্রশ্ন উঠছে।
তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী হলেন মুকুটমণি অধিকারী। তিনি ছিলেন বিজেপির বিধায়ক। লোকসভা ভোটের মুখে তিনি আচম🍸কাই দল বদলে চলে গেলেন তৃণমূলে। সেখানে গিয়ে ট﷽িকিটও পেয়ে যান তিনি।
মনে করা হচ্ছে নড্ডা মূলত সেই মুকুটমণিকেই নিশানা করেছিলেন। এদিকে নড্ডার বক্💦তব্যের পালটা দিয়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, ওঁর দলে চোরেদের জন্য দরজা খোলা। য🍨াঁদের নাম সিবিআই, ইডির খাতায় রয়েছে, তাদের নিয়েই দল ভর্তি। তাই অন্য কাউকে দলে নেওয়ার জায়গাই নেই।
এদিকে বাংলায় সভা করতে এসে জেপি নড্ডা একের পর এক ইস্যুতে সুর চড়াতে শুরু করেছেন। সন্দেশখালি, নারী নির্যাতনেরꦍ প্রসঙ্গ তুলেও তিনি একের পর এক তোপ দেগেছেন।
তবে গোটা বাংলা জুড়ে যেভাবে দলবদলের হিড়িক পড়ে গিয়েছে সেক্ষেত্রে সেটা ঠেকানো যেন আদৌ সম্ভব নয় সেটা বুঝতে পারছেন অনেকেই। এমনকী এবারও 🅺লোকসভা ভোটে জিতে যাওয়ার পরেই ফের দলবদল হতে পারে বলেও মনে করছেন অনেকে।