মাসকয়েক আগে তিনি ‘ডেডলাইন’ বেঁধে দিতেন। সেইসময়ের মধ্যে হাজিরা দিতে হত অন্যদের। এবার তমলুকের বিজেপি প্রার্থী তথা কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে সময়সীমা বেঁধে দিল নির্বাচন কমিশন। শুধু তাই নয়, আইন ভাঙলে যিনি একটা সময় সাজা দিতেন, পশ্চিমবঙ্গের মু🌳খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ‘কুরুচিকর’ মন্তব্য করার দায়ে প্রাথমিকভাবে সেই অভিজিতকেই দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। পাঠানো হয়েছে শো-কজের চিঠি। আগামী সোমবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে তাঁকে জবাব দিতে বলে কড়া নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। সেই শো-কজের চিঠির বিষয়ে আপাতত কোনও মন্তব্য করেননি অভিজিৎ।
মমতার বিরুদ্ধে কী ‘কুরুচিকর’ কথা বলেছিলেন অভিজিৎ?
গত বুধবার তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে একটি সভা থেকে অভিজিৎ বলেছিলেন, ‘আজ তৃণমূল বলছে যে সব মিথ্যে, ২,০০০ টাকায় রেখা পাত্রকে কেনা হয়ে গিয়েছিল। ২,০০০ টাকায় রেখা পাত্রকে কেনা হয়েছিল? মমতা বন্দ্যো🐬পাধ্যায়, তুমি কত টাকায় বিক্রি হও? তুমি কত টাকায় বিক্রি হও? তোমার হাতে তো আট লাখ গুঁজে দিলে একটা চাকরি দাও। তোমার হাতে ১০ লাখ গুঁজে দেয় এবং দিয়ে রেশন নিয়ে হাওয়া করে দেয় অন্য দেশে। ভারতবর্ষেই থাকে না সেই রেশন।’
তিনি আরও বলেছিলেন, ‘তো তোমার দাম ১০ লাখ টাকা? কেন? তুমি কেয়া শেঠকে দিয়ে মুখ♒ে ফুলটিস কর, সেজন্য? মেকআপ কর। মেকআপ করে বেরোও? আর রেখা পাত্র গরিব মানুষ। লোকের বাড়িতে কাজ করে খাও। আমাদের প্রার্থী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো সুন্দরী নন একটু বেশি সুন্দরী। সেজন্য রেখা পাত্রকে ২,০০০ টাকায় কেনা যায়? একজন মহিলা আর একজন মহিলার সম্বন্ধে এরকম উক্তি করতে পারেন, সেটা আমরা ভাবতেও পারি না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলা তো? আমার মনে প্রশ্ন জাগে মাঝে-মাঝে।’
কমিশনের কাছে অভিযোগ তৃণমূলের
অভিজিতের সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তমলুকের বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে কমিশনের কাছে নালিশ জানায় তৃণমূল। রাজ্যের শাসক দলের তরফে দাবি করা হয়, অভিজিৎ যে মন্তব্য করেছেন, চূড়ান্ত অবমাননাকর। তাতে আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গ হয়েছে। দেশে꧅র একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে তিনি যে মন্তব্য করেছেন, তা কোনওভাবেই বরদꩵাস্ত করা যায় না। সেই পরিস্থিতিতে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করার দাবি জানায় তৃণমূল।
কমিশনের পদক্ষেপ
তৃণমূলের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তমলুকের বিজেপি প্রার্থীকে শো-কজ করেছে কমিশন। শুক্রবার কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, অভিজিৎ যে মনꦫ্তব্য করেছেন, তা প্রাথমিকভাবে অসমীচীন, কুরুচিকর এবং অবমাননাকর 🌺বলে মনে করা হচ্ছে। যা আদর্শ আচরণবিধির পরিপন্থী।