প্রার্থী হওয়ার পর বর্ধমানে পৌঁছেই🍰 প্রতিদ্বন্দী কীর্তি আজাদকে আক্রমণ করলেন দিলীপ ঘোষ। মঙ্গলবার সকালে বর্ধমানে পৌঁছেই ১০৮ শিব মন্দিরে পুজো দেন তিনি। এর পর বলেন, ‘তৃণমূলকে উনি চেনেন না। উনি জানেন না কোন পিচে খেলতে ন꧑েমেছেন’।
প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পর সোমবার দুর্গাপুরে গিয়েছিলেন দিলীপবাবু। মঙ্গলবার পৌঁছন বর্ধমানে। সেখানে পৌঁছেই ১০৮ শিবমন্দিরে পুজো দেন তিনি। এর পর বলেন, বর্ধমানে এসেই মহারাজার প্রতিষ্ঠিত শিব মন্দিরে পুজো 🌊দিলাম। এর পর হোলি উৎসবে যোগদান করব।
আরও পড়ুন: দেওয়াল লিখন ঘিরে দোলের দিন অশান্ত ভাঙড়, ISF-TMC সংঘর্ষে ♔ঝরল রক্ত
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দিলীপবাবু বলেন, ‘এই বাংলায় ভোট হবে𒅌 আর হিংসা হবে না, এটা তো ভাবা যায় না। এটা সবাই জানে। তাই নির্বাচন কমিশন আগে থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠিয়ে দিয়েছে। এই হিংসা থেকে বাঁচতে গেলে ভোট দিয়ে পরিবর্তন করতে হবে। লোক সিপিএমের হিংসা থেকে বাঁচার জন্য ভোট দিয়েছিল। এখন তার থেকে বেশি হিংসা হচ্ছে। এই হিংসাশ্রয়ী পার্টি যতদিন থাকবে ততদিন হিংসা হবে’।
প্রতিপক্ষ তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদের নাম শুনে তিনি বলেন, ‘উনি 𝄹আছেন কোথায়? উনি জানেন আসে পাশে য⛎ারা ঘুরে বেড়াচ্ছে তারা সব কাটমানিখোর, তোলাবাজ। উনি তৃণমূলকেও চেনেন না আর বর্ধমানকেও চেনেন না। প্রার্থী আগে দেখে নিন কোথায় বর্ধমান, কোথায় ভাতার – মন্তেশ্বর। কোন পিচে নেমেছেন উনি জানেন না। পিচটা আমরা তৈরি করেছি। উনি কী বলছেন লোকে বুঝতে পারছে না। লোকে কী বলছে উনি বুঝছেন না। তৃণমূলের দ্বিচারিতা ধরা পড়ে গিয়েছে। গুজরাত থেকে আমাদের নেতা এলে তিনি হন বহিরাগত। আর বিহার – গুজরাত থেকে তৃণমূল নেতা এলে তিনি অনুগামী হয়ে যাচ্ছেন’।
আরও পড়ুন: দোলের 💧দিন প্রেমিকের বাইকে চেপে রিলস বানাতে গিয়ে বিপত্তি, পড়ে মৃত্য🎐ু হল তরুণীর
মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষকে এবার বর্ধমান – দুর্গাপুর কেন্দ্র থেকে টিকিট দিয়েছে বিজেপি। মেদিনীপুরে তৃণমূলের জুন মালিয়ার বিরুদ্ধে আসানসোলের মেয়ে তথা বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। সূত্রের খবর, রাজ্য বিজেপির বর্তমান নেতৃত্বের সঙ্গে দূরত্বের কারণেই মেদিনীপুর ছাড়তে হয়েছে দিলীপবাবুকে। নিজের এলাকায় দিলীপবাবুকে প্রার্থী চাননি রাজ্যের ཧবিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার বদলে তাঁর অনুগামী বলে পরিচিত বিজেপির নতুন প্রজন্মের নেতা অগ্নিমিত্রা পালকে প্রার্থী করার সুপারিশ করেন তিনি। এই খবর যে একেবারে মিথ্যা নয় তার আভাস পাওয়া গিয়েছে অগ্নিমিত্রার কাজে। প্রার্থী হয়েই সোজা শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি কাঁথির শান্তিকুঞ্জে পৌঁছে গিয়েছেন তিনি।