রাজনীতিতে একে অপরের বিরোধী হলেও ভোট প্রচারে ব𝔉েরিয়ে বহুবার সৌজন্যতার নজির গড়েছেন বঙ্গের একা🌺ধিক প্রার্থী। এবার সেই ধারা বজায় রাখলেন আরও এক প্রার্থী। তিনি হলেন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার ঘাটালের বাম প্রার্থী তপন গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখোমুখি হন হিরণ। তখন তিনি বয়সে বড় বাম প্রার্থীর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন।
আরও পড়ুনঃ ঈশ্বর যেন দেবকে এভাবেই সবসময় বাঁচিয়ে দেন! হেলিকপ্টার♑ বিভ্রাট নিয়ে বললেন হিরণ
প্রসঙ্গত, এবার ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন সংসদ তথা অভিনেতা দীপক অধিকারী বা দেব। অন্যদিকে, বিজেপি প্রার্থী 🍎হিরণ চট্টোপাধ্যায় এবং বাম প্রার্থী তপন গঙ্গোপাধ্যায়। প্রচারে বেরিয়ে তারা লাগাতার একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমণ করে চলেছেন। তার মধ্যেও সৌজন্যতা দেখালেন হিরণ। জানা গিয়েছে, শুক্রবার মেদিনীপুরের জেলা শাসকের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়। মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার পথেই তপনের সঙ্গে দেখা হয়ে যায় হিরণের। সেই সময় তপন বাবুর পায়ে হাত দিয়ে প্রণা🐼ম করে শুভেচ্ছা জানান। পালটা বাম প্রার্থীও হিরণকে শুভেচ্ছা জানান।
দুই প্রার্থী বেশ কিছুক্ষণ একে অপরের সঙ্গে কথা বলেন। এছাড়া স্বাস্থ্যের খোঁজ নেওয়ার পাশাপাশি গ্রীষ্মের দাবদাহে নির্বাচনী প্রচার নিয়েও পরামর্শ নেন হিরণ। মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য এদিন প্রথমে খড়গপুর স্টেশন থেকে মেদিনীপুর স্টেশন পর্যন্ত লোকাল ট্রেনে সফর করেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়। এরপর সেখান থেকে তিনি টোটোতে চেপে বিজেপির কর্মসূচিতে যোগ দেন এবং জেলা শাসღকের কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়ন জমা দেন।
এদিনও দেবকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি হিরণ। তিনি বলেন, ‘একজন সাংসদ সাধারণ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি হলেন তাদের জনপ্রতিনিধি। তাদের কাজ হল জনগণের সমস্যা দিল্লির দরবারে তুলে ধরা। কিন্তু কেউ যদ🅷ি মার্সিডিজে করে ঘুরে বেড়ায় কলকাতার পেন্টহাউসে থাকে আর দিল্লিতে গিয়ে মানুষের কথা না জানায় তাহলে কি করে হবে। আর আমাদের প্রার্থী যিনি আছেন তিনি খুব বেশি হলে ১১ শতাংশ দিল্লিতে গিয়েছেন।’
নিজের প্রসঙ্গে হিরণ বলেন, ’আমি খড়গপুরে টোটোতে করে ঘুরে বেড়িয়েছি, অটোতে করে ঘুরে বেড়িয়েছি। এটা নতুন কিছু নয়।’ ট্রেন সফর প্রসঙ্গে বলেন, ‘এখন ট্রেনের পরিষেবা খুব ভালো। মোদীজি🥀র আমলে ট্রেন পরিষেবা অন্য জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। তাই ট্রেনে চ𒊎ড়েই মনোনয়ন দিতে এলাম। আমি এখনও ভাড়া বাড়িতে থাকি, ভাড়া গাড়িতে চড়ি।’