অদিতি আগরওয়ালআর মাত্র কিছুক্ষণের অপেক্ষা। তার মধ্যেই নির্বাচন কমিশন এবারের লোকসভা ভোটের দিন ঘোষণা করবে। তবে এবার গত সাতদিন ছিল নির্বাচন কমিশনের কাছে সবথেকে চাপের দিন। একেবারে ঘটনাবহুল সাতদিন। গত ৯ মার্চ। আচমকাই নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন অরুণ গোয়েল। এর জেরে গোটা দেশজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়।এরপর ১২ মার্চ। বহু চর্চার পরে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া নির্বাচন কমিশনের কাছে নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় জমা দেয়।১৪ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সিলেকশন কমিটি নতুন ইলেকশন কমিশনারের আইনের আওতায় দুজন নতুন নির্বাচন কমিশনারের নাম ঘোষণা করা হয়। ওইদিনই রাত ৭টা বেজে ৫৫ মিনিটে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন বন্ড কারা কিনেছিল ও কারা দিয়েছিল সবটা ঘোষণা করে। ১৫ মার্চ দুজন নতুন নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার ও সতবীর সিং সাধু সকালবেলা দায়িত্ব নেন ও ১৬ মার্চ নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। একেবারে নাটকীয় ও ঘটনাবহুল সাতদিন।এবার প্রশ্ন ২৪ ঘণ্টা আগে দায়িত্ব নিয়েছেন। তার মধ্যেই একের পর এক দায়িত্ব নেওয়া ও ঘোষণা করার ঘটনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার সেওয়াই কুরেশি জানিয়েছেন, অফিসাররা ইতিমধ্যেই হোমওয়ার্ক করে ফেলেছেন। নতুন নির্বাচন কমিশনার কিছুটা কম অভিজ্ঞতা পেয়েছেন। তবে তাঁর কাছে এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু সাংবিধানিক দিক থেকে ক্ষমতা কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।এদিকে নির্বাচন কমিশন যাতে রাজনৈতিক কাদাছোঁড়াছুড়ি থেকে দূরে থাকে তার জন্য সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু এই যে নতুন নির্বাচন কমিশনার তাঁদের তো এখন নতুন করে তাদের জমি তৈরি করতে হবে, সেক্ষেত্রে কি তাঁরা মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট ঠিকঠাক করে প্রয়োগ করতে পারবেন?কুরেশি জানিয়েছেন, এটা নির্ভর করছে তাঁরা কতটা উজ্জ্বল তার উপর। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, এই আইএএস অফিসাররা বরাবরই এই নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্য়ে থাকেন।বিধি সেন্টারের সহ প্রতিষ্ঠাতা অলোক প্রসন্ন হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, সাংবিধানিকভাবে একজন নির্বাচন কমিশনার হন। ১৯৯০ থেকে একজন করে নির্বাচন কমিশনার ছিলেন। ১৯৮৯ সালে অতিরিক্ত নির্বাচন কমিশনার ছিলেন। …তিনি জানিয়েছেন, আসলে গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়াটি নির্ভর করে রাজ্যস্তরের ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কীভাবে ভোট প্রক্রিয়া হয় তার উপরেও অনেক কিছু নির্ভর করে।