সন্দেশখালি স্টিং অপারেশনের পর্ব–১ এবং পর্ব–২ সবার সামনে এসেছে। তাতে চরম বেকায়দায় পড়েছে বিজেপি। সেই ভিডিয়ো এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এবং ভোট প্রচারে পৃথক মাত্রা যোগ করেছে। যদিও দুটি ভিডিয়োই যাচাই করে দেখেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল। তবে এই ইস্যুতে বিজেপিকে কড়া আক্রমণ করে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর প্রবল ঢেউয়ে যেমন নৌকা বেসামাল হয়ে পড়ে তেমন বিজেপির এখন অবস্থা হয়েছে। এই আবহে সন্দেশখালির ভিডিয়ো নিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে শোনা যায়নি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। তৃণমূল কংগ্রেস ‘নতুন খ♈েলা’ শুরু করেছে বললেও তা ব্যাখ্যা করেননি। আর বাংলায় নির্বাচনী প্রচারে এসে বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য না করার ফলে ♋প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তোপ দেগেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন ব্যারাকপুরের সভা থেকে সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে পালে হাওয়া টানতে চাইলেও বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের নামও করেননি। তবে একই জায়গা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুর চড়িয়ে বলেন, ‘এত বড় ষড়যন্ত্র করেও সন্দেশখালি নিয়ে🃏 এখনও মিথ্যাচার চালিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।’ আর এবার হাওড়া থেকে একই অভিযোগ তুলে তোপ দাগলেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘আজকে প্রধানমন্ত্রী এসেছিলেন বাংলায় সভা করতে। আমি ভেবেছিলাম সন্দেশখালি নিয়ে বাংলার মানুষের কাছে ক্ষমা চাইবেন। এখন বুঝতে পারছি, এই ঘটনায় শুধু বাংলার বিজেপি নেতারা দায়ী নন, দিল্লির বিজেপি নেতাদের অঙ্গুলিহেলনে সন্দেশখালির ঘটনা ঘটেছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের যুবক সাঁতরে ঢুকে পড়ল ভারতে, অসমের করিমগঞ⛦্জে বিএসএফের হাতে গ্রꦰেফতার
অন্যদিকে রাত পোহালেই লোকস♏ভা নির্বাচনের চতুর্থ দফার ভোট হবে। বাকি আরও তিন দফা বাকি। পঞ্চম দফায় ভোট বনগাঁ লোকসভা আসনে। রবিবার ওই আসনের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাসের হয়ে বাগদায় সভা করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মতুয়াদের হয়ে সুর চড়িয়ে বলেন, ‘যাঁরা শ্রী শ্রী হরিচাঁদ, শ্রী শ্রী গুরুচাঁদকে ঈশ্বর বলে মানেন না, তাঁদের কি ভোট দেবেন? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সভা করে বলে গিয়েছেন মতুয়ারা শরণার্থী। আর আমরা বলছি মতুয়ারা সবাই এই দেশে🦂র নাগরিক। এটাই পার্থক্য।’ এই মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক দখলে রাখতে অনেকদিন ধরেই চেষ্টা করছে বিজেপি। কিন্তু সেটা দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে।
এছাড়া হাওড়ায় তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচার করতে আসেন অভিষেক। এখানেই সন্দেশখালি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তোপ দাগেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘কিছু ভোট পাওয়ার জন্য একটা রাজনৈতিক দল, এতটা নির্লজ্জ, এতটা নিকৃষ্ট, এতটা নিচে নামতে🥀 পারে, যে দু’হাজার টাকা দিয়ে সম্মান দিল্লির কাছে বিক্রি করে দিয়ে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে চেয়েছিল। এতকিছুর পর আশা করেছিলাম এমন ভুলের বাংলার মানুষের কাছে ক্ষমা চাইবেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু সেটা হল না। তাই এই ঘটনায় দিল্লির নেতাদের হাত স্পষ্ট।’