লোকসভা নির্বাচন মিটে গিয়েছে গোটা দেশে। তারপর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে নানা বুথফেরত সমীক্ষা। যেখানে বলা হচ্ছে, বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে বেশি আসন পাবে বিজেপি। তাহলে বিজেপির এখন নিশ্চিন্ত থাকা উচিত। কিন🍸্তু বাস্তবে সেটা হচ্ছে না। আশার পাশাপাশি আশঙ্কাও করছেন বিজেপি নেতারা। আর এই আশঙ্কা থেকেই আজ, রবিবার এক্স হ্যান্ডেলে নতুন তথ্য পোস্ট করলেন বিজেপির শীর্ষ নেতা স্বপন দাশগুপ্ত। যা নিয়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে। বিজেপি নেতাদের মধ্যেও জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
এদিকে শুধু এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেই থেমে থাকেননি বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্ত। তিনি এই তথ্য জানাতে ট্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অ👍ধিকারীকে। সেখানে স্বপনবাবু লিখেছেন, ‘আমি একটি গোপন খবর দিচ্ছি। বাংলার ১০টি লোকসভা কেন্দ্রের গণনায় বড় সংখ্যায় গণনাকেন্দ্রে সমস্যা এবং বিঘ্ন ঘটানো পরিকল্পনা করা হ🐼য়েছে। আমি নির্বাচন কমিশনের কাছে আর্জি জানাচ্ছি, যাতে গণনায় বিশেষ যত্ন নেওয়া হয়। স্বচ্ছ গণনা নিশ্চিত করতে হবে।’ সুতরাং একটা আশঙ্কা করা হচ্ছে বিজেপির পক্ষ থেকে। আর সেটাই এখন আলোচ্য বিষয়।
অন্যদিকে স্বচ্ছ গণনা কি হবে না? স্বপনবাবু এক্স হ্যান্ডেলের꧂ পোস্ট থেকে এই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই দাবি করা হয়েছে, বাংলায় ৩০টির বেশি আসন পাবে তারা। এই দাবির পরই এমন পোস্ট বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। তাহলে কি বুথফেরত সমীক্ষা মিলবে না? এই প্রশ্নের উত্তর মিলবে ৪ জুন ভোটবাক্স খোলার পর। ইতিমধ্যেই বুথফেরত সমীক্ষা দুটি বিষয় সামনে এনেছে। তা মিলতেও পারে, আবার নাও মিলতে পারে। এক, কেন্দ্রে আবার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। দুই, বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে বেশি আসন পাবে বিজেপি।
আরও পড়ুন: নদিয়ায় নৃশংস খুনে আলোড়ন, গ✅𒆙ুলি করে মুণ্ড কেটে হত্যা, শিউরে উঠলেন মানুষজন
সেক্ষেত্রে বিজেপির নিশ্চিন্তে থাকা উচিত। কিন্তু একটা আশঙ্কা🧔 করছে পদ্মফুল শিবির। আর সেই আশঙ্কা থেকেই এমন মন্তব্য করেছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাসগুপ্ত। তাঁর কথায়, ‘দয়া করে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের গণনা থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত। আমি এই তথ্য পাবলিক ডোমেনে দিলাম যাতে গণনার আগে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।’ নির্বাচন কমিশনের কাছে আর্জি জানিয়েছেন এই বিজেপি নেতা। সুতরাং এখন দেখার বিষয় ফলাফল কোনদিকে গড়ায়। তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা বলতে শুরু করেছেন, যা কথা হবে ৪ জুনের পর।