নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ)🐷 নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস গোটা বাংলায় তোলপাড় করে ছেড়েܫ দিয়েছে এই আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে। আর কেন্দ্রীয় সরকার লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তা দেশজুড়ে কার্যকর করে দিয়েছে। যদিও বাংলা তা মানেনি। এবার মুখ খুললেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক (কমিউনিকেশনস) জয়রাম রমেশ। আগে তিনি বলেছিলেন, এই আইন কার্যকর করতে চার বছর তিন মাস সময় লাগল কেন? আইন কার্যকরের সময় নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়ে ছিলেন তিনি। এবার তিনি সরাসরি জানিয়ে দিলেন, মানুষের বিরোধী যেসব আইন বিজেপি সরকার এনেছে সেগুলি পর্যালোচনা করে দেখা হবে। তবে এই আইন বাতিল করার পক্ষে কোনও মন্তব্য করেননি জয়রাম।
এদিকে এই আইনকে কালাকানুন বলে দেশজুড়ে মানুষজন সোচ্চার হয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেস যারা ইন্ডিয়া জোটে আছে তারা এই আইন বাতিলের কথা বলছে। স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনী জনসভা থেকে বলেন, ‘ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় এলে এইসব আইন ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হবে।’ সেখানে সিএএ নিয়ে জয়রাম রমেশ জানান, কংগ্রেস তার ইস্তেহারে পরিষ্কার করে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) নিয়ে উল্লেখ করা আছে। কদিন আগে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা পি চিদম্বরম বলেছেন, ইন্ডিয়া জোট𓆏কে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় নিয়ে এলে সিএএ আইন বাতিল করা হবে। সেখানে জয়রাম রমেশ অন্য সুরে কথা বল❀ছেন! কেন বাতিলের কথা বলছেন না জয়রাম? উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: 𝕴অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে অন্তর্বরꦿ্তী জামিন দিতে চলেছে সুপ্রিম কোর্ট, প্রশ্নের মুখে ইডি
অন্যদিকে ইস্তেহার তৈরি হয়েছে পি চিদম্বরমের নেতৃত্বে। সেখানে সিএএ বাতিল করার কথা বলা নেই। সুতরাং গোটা বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্ব ধোঁয়াশা তৈরি করছে বলে অভিযোগ। সিএএ বাতিল করার কথা বলছেন চিদম্বরম। ♊এই নিয়ে প্রশ্ন করলে জয়রাম রমেশ বলেন, ‘আমি চিদম্বরম কি বলেছেন তার উপর মন্তব্য করছি না। তিনি যা বলেছেন সেটা তাঁর ব্যক্তিগত মতামত। আমি ইস্তেহার অনু🃏যায়ী কথা বলছি। যা ওনার নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে। যাতে অনুমোদন দিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি এবং কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি। আমি পার্টির অবস্থানটা স্পষ্ট করছি। সিএএ বিষয়টি ইস্তেহারে বড় কোনও সংখ্যা নয়।’
তাহলে কি সিএএ দেশে থেকে যাবে? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও জয়রাম রমেশ জানান, ধর্ম এবং সংরক্ষণ🔥ের মাধ্যমে জাতির নাগরিকত্ব অসাংবিধানিক বলেই বিশ্বাস করে কংগ্রেস। এই কথা মুখে বললেও অসাংবিধানিক আইনটি বাতিলের পক্ষে সওয়াল করেননি জয়রাম রমেশ। তাঁর কথায়, ‘আমরা সিএএ’র বিরোধিতা করেছিলাম সংসদে। কারণ এটা ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়ার ছক। আমাদের সংবিধান ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্বের কথা বলে না। আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছি জনবিরোধী আইন যা বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার এনেছে তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যাল꧋োচনা করে পরিবর্তন করা হবে। এটা কংগ্রেসের ইস্তেহারে আছে।’