আজ, সোমবার রাত পোহালেই ভোটগণনা শুরু হয়ে যাবে। দেশের সরকার তৈরি হবে বলে কথা। তার সঙ্গে আঞ্চলিক দলগুলি কতটা শক্তি বৃদ্ধি করতে পারল সেটাও দেখার বিষয়। মোদী ম্যাজিক কতটা কাজ করল সেটাও লক্ষ্য রাখবেন দেশের মানুষজন। এই আবহে আজই দুপুরবেলায় নয়াদি♊ল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকের ডাক দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কিন্তু কেন এই সাংবাদিক বৈঠক ডাকা হল? জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে এই প্রশ্ন ꧃উঠতে শুরু করেছে। দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ নয়াদিল্লির আকাশবাণী ভবনের রঙ্গভবন অডিটোরিয়ামে হবে এই সাংবাদিক বৈঠক। যদিও সাংবাদিক বৈঠকের কারণ জানায়নি নির্বাচন কমিশন।
ইতিমধ্যেই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন সাত দফায় হয়ে গিয়েছে। প্রত্যেক রাজ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হয়েছিল। টানটান স্নায়ুর লড়াই প্রত্যেক রাজ্যে ভোট হয়েছে। এবার দিল্লির কুর্সি কার দখলে থাকবে? আঞ্চলিক দলগুলি বিজেপিকে চাপে রাখতে পারবে কি? এসব জানা যাবে ৪ জুনের ভোটগণনা এবং ফলপ্রকাশের পর। গত ১৬ মার্চ লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট🐷 ঘোষণা হয়। ১৯ এপ্রিল প্রথম দফা ভোট দিয়ে লোকসভা নির্বাচন শুরু হয়। যা চলে ১ জুন পর্যন্ত। ওইদিনই ছিল সপ্তম তথা শেষ দফার ভোট। এই লোকসভা নির্বাচন মিটেছে শান্তিপূর্ণভাবেই। তারপর ভোটগণনার একদিন আগেই এই সাংবাদিক বৈঠক ডাকা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
আরও পড়ুন: রা🌊মমন্দির নির্মাণে শ্রমিকরা ৪ ঘণ্টা বিরতিতে কাজ করছেন, নয়া সময়সূচির কারণ কী?
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় এমন ঘটনা ঘটেনি। এবার প্রত্যেক রাজ্যের ভোটের হার দেখে বিরোধীরা খুশি। যদিও এক্সিট পোলে যা দেখানো হয়েছে তাতে খুশি বিজেপি। কিন্তু তা বিশ্বাস করতে রাজি নন বিরোধী দলগুলির শীর্ষ নেতা–নেত্রীরা। তাঁদের দাবি, এক্সিট পোলের বিপরীত ফলাফল হবে ৪ জুন। এবার আরও একটা বিষয় হল, ইন্ডিয়া জোট কেমন ফল ক🦩রে সেটা দেখার বিষয়। তার সঙ্গে বাংলার দিকে নজর আছে সকলের। এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে রুখে দিতে পারে কিনা সেটাও দেখার বিষয়। কারণ এক্সিট পোল বিজেপিকে বেশিরভাগ আসনে জিতিয়েছে। এমন একটা রুদ্ধশ্বাস মুহূর্তে সাংবাদিক বৈঠক বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে।
তবে লোকসভা নির্বাচন শেষ হতেই নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে শাসক–বিরোধী দু’পক𝓰্ষই। ইন্ডিয়া জোট এবং এনডিএ দু’পক্ষ থেকেই চিঠি দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনে। ভোটগণনায় যাতে কোনও কারচুপি না হয় সেই দাবি রেখেছে দু’পক্ষই। নির্মলা সীতারামন এবং পীযূষ গোয়েলের চিঠিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে আর্জি করা হয়েছে, ‘বিরোধীরা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে আক্রমণ করছে। নির্বাচনের গণনা প্রক্রিয়ায় ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা করা হতে পারে। গণনায় কারচুপির চেষ্টা চালাতে পারে।’ আবার পাল্টা সিপিএ🐭মের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, ‘পোলিং বুথ থেকে নির্দিষ্ট ইভিএম গণনাকেন্দ্রে এসে পৌঁছচ্ছে কি না সেটা সুনিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে হবে।’