আগামীকাল, শনিবার ষষ্ঠ দফার লোকসভা নির্বাচন। আর তার আগে একাধিক বিজেপি নেতার কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা উদ্ধারের খবর ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। এবার তাতে বাড়তি সংযোজন দাসপুরের এক বিজেপি নেতা প্রশান্ত বেরা। তাঁর কাছে থেকে উদ্ধার হয়েছে আনুমানিক ২৪ লক্ষ টাকা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে ঘাটালের দাসপুরে। ওই বিজেপি নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। তবে তাঁর দাবি, এই টাকা নির্বাচন খাতে খরচা করার। যা তিনি পার্টি অফিস থেকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। রাত প𝕴োহালেই ঘাটালে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে এই বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
কদিন ধরেই বিজেপির প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায় এবং রাজ্ꦯযের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দেব ওরফে দীপক অধিকারী কে গরু পাচারের টাকা তাঁর অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে বলে অভিযোগ তুলছিলেন। পাল্টা নথি তুলে জবাব দিচ্ছিলেন দেবও। এবার দেখা গেল, বিজেপি নেতার কাছ থেকেই ২৪ লক্ষ টাকা উদ্ধার হল। এই নেতা বিজেপি প্রার্থী হিরণের হয়ে ভোটের দায়িত্ব রয়েছেন বলে সূত্রের খবর। যদিও হিরণের দাবি, গাড়িতে টাকা ঢুকিয়ে দিয়ে ফাঁসানো হচ্ছে বিজেপি নেতাদের। এই টাকা কি ভোট কেনার কাজে ব্যবহার হতো? উঠছে প্রশ্ন। তদন্ত করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামের খুনের ঘটনায়ꩵ অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট তলব, ফের ফোঁস করে উঠলꦜেন রাজ্যপাল বোস
ষষ্ঠ দফার নির্বাচনের একদিন আগে ঘাটাল লোকসভার দাসপুর থানার খুকুড়দা এলাকায় নাকা চেকিং করার সময় পুলিশ এই টাকা উদ্ধার করেছে বিজেপি নেতার গাড়ি থেকে। এই অর্থের পরিমাণ এখনও পর্যন্ত ২৪ লক্ষ টাকা। তবে গণনা চলছে। বাড়তেও পারে। পুলিশ সূত্রে খবর,♌ ওই টাকার বৈধ কোনও কাগজপত্র দেখাতে পারেননি কেউ। উদ্ধার হওয়া টাকা কোথা থেকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সেটা নিয়েও কেউ মুখ খুলছে না। যদিও হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের সাফাই, ‘যেভাবে আমার আপ্তসহায়কের বাড়িতে এসেছিল, এটাও তেমনই চক্রান্ত। টাকা, বন্দুক, বোমা বাড়িতে, গাড়িতে ঢুকিয়ে বিজেপি নেতাদের ফাঁসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করা হচ্ছে।’
এছাড়া এই ঘটনা সামনে আসতেই তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, নির্বাচনের সময়ে রাজ্যের নানা এলাকায় ভোটারদের ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি। এই টাক🎃া সেই কাজেই ব্যবহার করার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পুলিশ চেকিংয়ে তা ধরা পড়ে গিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি আশিস হুদাইত বলেন, ‘নানা এলাকায় ভোটারদের ঘুষ দেওয়ার জন্য ওই টাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পুলিশের নাকা চেকিংয়ে ধরা পড়ে গিয়েছে।’