রাত পোহালেই দেশে শুরু হয়ে যাবে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ পর্ব। আর তার প্রাক্কাল সরাসরি কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকে নিশানা করলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। কেরল রাজ্যের ওয়েনাড় লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দাদা রাহুল গান্ধী। আর তাঁকে ক্রমাগত আক্র🐟মণ করে যাচ্ছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী। তাই বোন প্রিয়াঙ্কা এবার তাঁর দাদার হয়ে আসরে নামলেন। আর বিজেপির সঙ্গে এখানে সিপিএমের যোগসাজশ আছে বলে কার্যত সুর চড়ালেন প্রিয়াঙ্কা। আর তাই কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় সরকার কোনও পদক্ষেপ করছে না।
এদিকে ২৬ এপ্রিল দ্বিতীয় দফার ভোটে সিপিএম–বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছে কংগ্রেস। একাধিক দুর্নীতির অভি𝄹যোগ রয়েছে কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বলে দাবি করেন প্রিয়াঙ্কা। কংগ্রেস নেত্রী এই বিষয়ে বলেন, ‘কেরলের মুখ্যমন্ত্রী শুধু রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ করেন। তিনি কখনও বিজেপিকে আক্রমণ করেন না। একজন মানুষ যখন ন্যায়ের পক্ষে লড়ছেন, তখন অশুভ শক্তি এক জায়গায় হয়ে ওই মানুষটির বিরোধিতা করছেন।’ এখানে সিপিএমের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট হয়নি। তাই কংগ্রেসের বিরোধিতা করছে সিপিএম। পাল্টা এবার সিপিএম তথা কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেন প্রিয়াঙ্কা।
আরও পড়ুন: ‘অযোগ্যদের তালি🎐কা আদালতকে দেওয়া হয়েছিল’, অভিযোগ খণ্ডন করলেন এসএসসি’র চেয়ারম্যান
অন্যদিকে দেশের অনেক বিরোধী নেতাকে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে জেলে ভরে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। অথচ এখনও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বলে তোপ দাগেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তাঁর বক্তব্য, ‘অশুভ শক্তিগুলি এক জায়গায় এসে কংগ্রেসের বিরোধিতা করছে ভোটের স্বার্থে। তাই একাধিক দুর্নীতি থাকলেও কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করছে না কেন্দ্র।’🌊 কদিন ধরেই রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ করে চলেছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। সিএএ নিয়ে রাহুল গান্ধী কোনও কথা বলছে না বলে সরব হন বিজয়ন। 🎀সেটা যে সঠিক নয় তা বুঝিয়ে দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
এছাড়া ভারত জোড়🤪ো যাত্রা করেছেন রাহুল গান্ধী। তা নিয়ে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী কিছু বলেন না বলে অভিযোগ প্রিয়াঙ্কার। উলটে শুধু কুৎসা করে। দেশের অন্য রাজ্যের দুই মুখ্যমন্ত্রী এখন জেলে আছেন। একজন হেমন্ত সোরেন আর দ্বিতীয়জন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেখানে একাধিক দুর্নীতি থাকা সত্ত্বেও কেরলের মুখ্যমন্ত্রী জেলের বাইরে আছেন। তার কারণ দু’পক্ষের মধ্যে যোগসাজশ আছে বলে মনে করেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। যদিও অরবিন্দ কেজরিওয়াল বা হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে তেমন কোনও দুর্নীতি প্রমাণ হয়নি।