𓄧 আনুগত্যের চরম পর্যায় বলা যেতে পারে। ষষ্ঠ দফার লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে এমন ছবি দেখল গোটা দেশ। নির্বাচনী প্রচার থেকে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবার সেই চরম আনুগত্য দেখালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতি। হরিয়ানার পালওয়াল এলাকায় নির্বাচনী সমাবেশে রাজনাথ সিংকে বলতে শোনা গিয়েছে, আগে ভারতকে বিশ্বের দরবারে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হতো না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কার্যকরী কাজ এমন মাত্রায় পৌঁছেছে যে, বিশ্বের রাষ্ট্রনেতারা তাঁকে ‘বস’ বলে সম্বোধন করে থাকেন। রাজনাথের মতো শীর্ষনেতার মুখ থেকে এমন কথা শুনে অনেকেই অবাক। আবার অনেকে বলেছেন এটাই চরম আনুগত্য।
💫এদিকে লোকসভা নির্বাচনে এখন টানটান উত্তেজনায় ভোট হচ্ছে। নীরবে মানুষ এখন গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করছেন। আর এটা থেকে বিজেপি নেতারা বুঝতে পারছেন না এই ‘সাইলেন্ট ভোট’ তাঁদের বিরুদ্ধে না পক্ষে যাচ্ছে। তাই বাকি দু’দফার থাকতেই রাজনাথ সিং বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কার্যকরী নেতৃত্বের কারণেই অন্যান্য দেশের নেতৃত্ব ভারতের আওয়াজকে এখন গুরুত্ব দেয়।’ বহু বিদেশের রাষ্ট্রনেতারা এখন নরেন্দ্র মোদীকে ‘বস’ বলে সম্বোধন করেন বলেও বৃহস্পতিবার জানিয়ে দিলেন রাজনাথ সিং।
আরও পড়ুন: ⛦কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে খোলা হল ব্যানার–পোস্টার, দ্বিচারিতার অভিযোগ টিএমসিপি’র
🌄অন্যদিকে এই হরিয়ানায় রয়েছে কৃষক বিদ্রোহ। কৃষি নীতির জেরেই এখানকার কৃষকরা কেন্দ্রীয় সরকারের উপর খাপ্পা। আর সেখানেই সমাবেশ করে এমন কথা শুনিয়েছেন রাজনাথ সিং। যাতে আরও ফুঁসছেন সাধারণ মানুষ থেকে কৃষকরা। রাজনাথ সিংয়ের বক্তব্য, ‘গত ২৫ বছর আগের কথা। আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতকে গুরুত্ব সহকারে দেখা হতো না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কার্যকরী নেতৃত্বের কারণে অন্যান্য দেশ এখন আমাদের আওয়াজে গুরুত্ব দেয়। বহু বিদেশের রাষ্ট্রনেতারা প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান জানিয়ে ‘বস’ এবং ‘গ্রেট’ সম্বোধন করে থাকেন।’
♉এছাড়া ষষ্ঠ দফার নির্বাচনে হরিয়ানার ১০টি লোকসভা আসনের ভোট রয়েছে। রাত পোহালেই তা শুরু হয়ে যাবে। ভারত এখনও উদীয়মান পর্যায়ে আছে বলে জানান রাজনাথ সিং। তাহলে কেন প্রধানমন্ত্রীকে বস বা গ্রেট বলা হবে? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও রাজনাথের কথায়, চিন রেগে যায় সীমান্তে রাস্তা তৈরি হলে। কংগ্রেস কোনও পরিকাঠামোর কাজ করেনি। সেখানে ১০ বছরে দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি আগের থেকে অনেক ভাল হয়েছে। এসব কথা কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী বললেও ৪ জুনের ফলই বলে দেবে সত্যিই প্রধানমন্ত্রী ‘বস’ কিনা।