একই নাম। একই কেন্দ্র। লোকসভা নির্বাচনের মরশুমে এটাই ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর তাতেই বিড়ম্বনায় পড়ছেন ‘হেভিওয়েট’ প্রার্থীরা। কারণ একই নাম এবং একই লোকসভা কেন্দ্র হলে বিভ্রান্ত হয়ে মানুষ লাইট ওয়েটღের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন। তাতে ভꦉোট কাটাকাটির খেলায় অন্যজন জিতে জেতে পারে। আর এই সম্ভাবনা এবং আশঙ্কা থেকেই সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। কিন্তু আজ, শুক্রবার সেই মামলা খারিজ করে দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। ‘সমনামী প্রার্থী’ দেওয়ার বিরুদ্ধে কোনও রায় দেওয়া হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি। সুতরাং আর এই নিয়ে আশার আলো রইল না।
এই মামলা খারিজ হয়ে যেতে ভেঙে পড়েছেন অনেক প্রার্থী। ‘সমনামী প্রার্থী’ নিয়ে সমস্যা থাকতেই পারে। কিন্তু তাতে আদালত আমল দিতে চায়নি। বরং বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের পর্যবেক্ষণ, ‘যদি কারও বাবা–মা একই ধরনের নাম দিয়ে থাকেন, তা হলে তাঁকে ভোটে লড়তে বাধা দেওয়া যাবে কোন যুক্তিতে? রাহুল গান্ধী বা লালুপ্রসাদ যাদব অন্য কারও নাম হতে পারে না? হলে ভোটে লড়ার অধিকার নেই?’ এই প্রশ্ন তুলে দেওয়ায় মামলাটি গুরুত্ব হারায়। নরেন্দ্র মোদীর কেন্দ্র বারাণসীতে যদি দেখা যায় নির্দলের টিকিটে ভোটে লড়🦩ছেন অন্য এক নরেন্দ্র। তাহলে কি তাঁর মনোনয়ন বাতিল হয়ে যাবে? এমনই প্রশ্ন কার্যত তোলে সুপ্রিম কোর্ট।
এখন বহু কেন্দ্রে সমনামী প্রার্থী দেখতে পাওয়া যেতে পারে। তাতে সমস্যাও হতে পারে। কিন্তু এখানে আদালতের কিছু করার নেই। সেই বার্তাই আজ দেওয়া হয়েছে। তবে আজ এই বিষয়টি নিয়ে মামলাকারীর আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে জানান, এটা একটা কৌশল। যার মাধ্যমে অতীতে একাধিকবার হেভিওয়েট বা তারকা প্রার্থীকে সামান্য ভোটের ব্যবধানে হেরে যেতে দেখা গিয়েছে। সমনামী প্রার্থীর থাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে। তাই জনগণের স্বার্থেই এই কৌশল বন্ধ হওয়া দরকার। এই সওয়াল করা♔ হলেও আদালত তাতে সহমত পোষণ করেনি।