লোকসভা নির্বাচনের আগে জেলা স্তরের আমলাদের বদলি করার নিয়ম আছে। উল্লেখ্য, কোনও আমলা যদি সংশ্লিষ্ট জেলায় ৩ বছরের বেশি সময় ধরে নিযুক্ত থাকেন, সেই ক্ষেত্রে এই বদলি বাধ্যতামূলক। যাতে ভোটে সেই আমলা প্রভাগ খাটাতে না পারে, তার জন্যেই নির্বাচন কমিশনের এই নিয়ম। তবে অনেক ক্ষেত্রেই সেই নিয়মের ফাঁক গলে পদক্ষেপ করে রাজ্য সরকারগুলি। দেখা যায়, সংশ্লিষ্ট আমলাকে একই লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত পাশের জেলায় বদলি করে দেওয়া হল। তবে এবার এই ফাঁক গলে আমলা বদলি করা যাবে না বলে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এই নিয়ে রাজ্যগুলিকে কড়া বার্তা দিয়েছে কমিশন। (আরও পড়ুন: আইপ্যাক কর্মী সেজে♏ 'পকেট টাকা' হল ✱হুমায়ুন কবীরের, মন্ত্রী করতে নেওয়া হল ঘুষ!)
আরও পড়ুন: বি💛য়ে হচ্ছিল না এ♓লাকার ছেলেদের! ঘটকালির পথ সুগম করলেন বিধায়ক, ২ কোটি দিলেন 'দিদি'
জাতীয় নির্বাচন 🧜কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ৩ বছরের বেশি সময় ধরে কোনও জেলায় নিযুক্ত আমলাকে একই লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত পাশের জেলায় বদলি করা যাবে না। সংশ্লিষ্ট আমলাকে অন্য লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে থাকা কোনও জেলায় বদলি করতে হবে। যে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল বা ছোট রাজ্যে সর্বাধিক দু'টি লোকসভা আসন আছে, সেই জায়গাগুলি অবশ্য এই কড়া নির্দেশের আওতা পড়বে না। এর আগে বহুবার দেখা গিয়েছে, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মানতে নিয়মের ফাঁক গলে বেরিয়ে যেত রাজ্যগুলি।
এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে রাজ্য সরকারগুলিকে জানানো হয়েছে, ভোট প্রক্রিয়ার সঙ্গে পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত কোনও💫 আমলা যদি নিজের বাড়ির জেলাতে নিযুক্ত থাকেন বা তিনবছরের অধিক সময় ধরে কোনও জেলায় কর্মর থাকেন, তাহলে তাঁকে অন্যত্র বদলি করতেই হবে। সকল রাজনৈতিক দলের জন্যে সমান লড়াইয়ের পরিসর দিতেই এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, আগামী ৩ মার্চ বাংলায় আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। তার আগে, ১ মার্চই বাংলায় পৌঁছাচ্ছে ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। আর ৭ মার্চ আসছে আরও ৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের আগেই বাংলায় সব মিলিয়ে ১৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহি♈নী আসছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, কমিশনের তরফ থেকে মোট ৯২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় কোম্পানি চাওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের জন্য। উল্লেখ্য, শনিবার সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য়ের জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক ছিল নির্বাচন কমিশনের। পরে জানা যায়, ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার আগেই রাজ্যে ১৫০ কোম্পানি বাহিনী আসছে। এর আগে সন্দেশখালির পরিস্থিতির ওপরে বিশেষ ভাবে নজর রেখেছিল নির্বাচন কমিশন। এই আবহে বাংলাকে যে বেশ স্পর্শকাতর রাজ্য হিসেবে দেখা হচ্ছে, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। কারণ, এভাবে ভোটের আগেই কমিশনের তরফ থেকে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো নজিরবিহীন ঘটনা।