আজ, মঙ্গলবার ভোটগণনা চলছে গোটা দেশে। তবে বাংলার অধিকাংশ আসন এখন তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে গিয়েছে। যদিও বেশ কয়েকটি আসনে এখনও গণনা সম্পূর্ণ হয়নি। বুথফেরত সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছিল, বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে বেশি আসন পাবে বিজেপি। যা ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাই এবার বাস্তবে মিলল। বাংলায় সবুজ ঝড় অব্যাহত। এখনও পর্যন্ত যা ফলাফল দাঁড়াচ্ছে তাতে ২৯টি আসন তৃণমূল কংগ্রেসের। ১২টি আসন বিজেপির। আর ১টি আসন কংগ্রেসের। ▨গণনা সম্পূর্ণ হলে আসন বাড়তে পারে তৃণমূল কংগ্রেসের। সুতরাং বোঝা যাচ্ছে, বাংলা থাকছে মমত🐠া বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই। আর দিদির গ্যারেন্টিতেই আস্থা রাখল বাংলার মানুষ।
মোদীর গ্যারেন্টি বাংলার মানুষ প্রত্যাখ্যান করল। আসলে বাংলার মানুষের ১০০ দিনের কাজের টাকা, আবাস যোজনার টাকা আটকে রাখার প্রতিশোধ নিয়েছে মানুষ। সেখানে দেখা গিয়েছে এই ১০০ দিনের কাজের টাকা মমতা বন্দ🔯্যোপাধ্যায়ের সরকার দিয়েছে। যা বকেয়া ছিল। এটা কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়ার কথা। গ্রামবাংলার মাটিতে শ্রমিক, কৃষক এবং মজদুরদের জন্য প্রকল্প এনেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। কৃষকবন্ধু থেকে শুরু করে পথশ্রী, কর্মশ্রী প্রকল্প নিয়ে আসা হয়েছে। তার উপর বাংলায় আবাস যোজনার টাকা আটকে রাখা হয়েছে। সেখানে কারও মুখাপেক্ষী না হয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ♔সেই টাকা রাজ্য সরকার দিয়ে দেবে বলে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘তমলুক–ক🌄াঁথিতে কারচুপি হয়েছে’, বি🐎পুল জয়ের পরও পুনর্গণনার দাবি তুললেন মমতা
এবা🔯র কাজ করেছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। একুশের মতো ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেও কাজ করেছে এই জনপ্রিয় সামাজিক প্রকল্প। এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে অর্থ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আগে ৫০০ টাকা মিলত। এখন মেলে মাসে ১০০০ টাকা। আর তফসিলি জাতি এবং উপজাতির ক্ষেত্রে সেটা বেড়ে হয়েছে মাসে ১২০০ টাকা। এটাই বিজেপি বন্ধ করে দেবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল। যা ক্ষতি করেছে। জেতা আসন দুটি– কোচবিহার এবং বাঁকুড়া হাতছাড়া হয়েছে। জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এছাড়া হুগলি হেরে গিয়েছে বিজেপি। আরামবাগে প্রধানমন্ত্রী সভা করেছিলেন। সেটাও হেরেছে বিজেপি। সুতরাং মোদীর গ্যারেন্টি প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলার মানুষ।
এছাড়া লোকসভা নির্বাচনের মরশুমে ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি খেয়ে নেওয়া হয়। সেখানে রাজ্য সরকার চাকরি বাঁচাতে সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে স্থগিতাদেশ নিয়ে আসে। আর আসে ওবিসি শংসাপত্র বাতিল করে দেওয়ার মতো ঘটনা। যার প্রতিবাদ করেছে রাজ্য সরকার। এটাও সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, বছরে দু’কোটি চাকরি হয়নি। সাধারণ মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা আসেনি। এ🉐টা প্রচার করতে সফল হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এরপর বড় ব্যুমেরাং হল সন্দেশখালি। স্টিং অপারেশনের ভিডিয়ো সামনে আসায় পুরো চিত্রটা বদলে যায়। আর এটাই গ্রামবাংলার মাটিতে ফেরি করে তৃণমূল কংগ্রেস। আর ২০১৯ সালের পর ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেও বামেরা সেই শূন্যই। নতুন প্রজন্মও আশার আলো দেখাতে পারল না লালপার্টিকে। বাংলা আরও একবার ‘প্রত্যাখ্যান’ করল বামেদের। প্রতဣ্যাখ্যান করল নরেন্দ্র মোদীর গ্যারেন্টিকে। ভাল কাজ করল আইপ্যাক।