আজ, মঙ্গলবার ভোটগণনা চলছে গোটা দেশে। তবে বাংলার অধিকাংশ আসন কার কাছে যায় সেদিকেও নজর রয়েছে সকলের। বুথফেরত সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে বেশি আসন পাবে বিজেপি। যা ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। আর সেটাই মিলতে চলেছে। বাংলায় সবুজ ঝড় অব্যাহত। ৩০টি আসনে এগিয়ে আছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর তাতেই বোঝা যাচ্ছে, বাংলা থাকছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই। কিন্তু এখন সবচেয়ে বড় খবর হয়ে দাঁড়িয়েছে বহরমপুর লোকসভা ক𒊎েন্দ্র।
এই তৃণমূল কংগ্রেসের চমক ছিল ইউসুফ পাঠানকে প্রার্থী করা বহরমপুরে। তারপর থেকে আক্রমণ শুরু করেন অধীর চৌধুরী। এই লোকসভা কেন্দ্রকে অধীর চৌধুরীর গড় বলা হয়। সেখানে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে❀ দাবি করা হয়েছিল, অধীর চৌধুরী বহরমপুরে মিথ। তাঁকে হারানো অসম্ভব। সেখানে ১২তম রাউন্ড গণনা শেষে অধীর চৌধুরী অনেক পিছনে রয়েছেন। সুতরাং একপ্রকার অধীর চৌধুরীর হার নিশ্চিত বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ যে বিপুল পরিমাণ ভোট পেয়ে প্রথম স্থান ধরে রেখেছেন ইউসুফ পাঠান তা মেকআপ দেওয়া সম্ভব নয়। পাঁচবারের সাংসদ অধীর চৌধুরীর এমন হাল হবে তা কংগ্রেস ভাবেনি।
আরও পড়ুন: অধিকারী ‘গড়’ ধরে রাখা কঠিন হচ্ছে, ঘাসফুল ঝড়ে বেসামাল হতে চলেছে ক♐াঁথি–তমলুক
এদ𒁃িকে মনে রাখতে হবে বহরমপুর আসন জিতবেন ১০০ শতাংশ বলে দাবি করেছিলেন অধীররঞ্জন চৌধুরী। এমনকী জিততে না পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন বলে দাবি করেছিলেন অধীর। সেক্ষেত্রে ফলাফল যা বলছে তাতে অধীরের প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত জরুরি। কারণ তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপ বাংলার মানুষ জানতে চায়। অধীরবাবু এটাও বলেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস যদি তাঁকে হারাতে পারে তাহলে তিনি রাস্তায় বসে বাদাম বেচবেন। ১২তম রাউন্ডের পর কিন্তু হারের দিকেই ইঙ্গিত করছে ফলাফল। অধীরের হেরে যাওয়া রাজ্য–রাজনীতি এবং জাতীয় রাজনীতিতে বড় খবর।
অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই বহরমপুরে নির্বাচনী জনসভা থেকে বলেছিলেন, ‘মিলিয়ে নেবেন আমার কথা꧂। এই বহরমপুরে অধীর চৌধুরী হেরে যাবেন। জিতবে ইউসুফ পাঠান। অধীর বিজেপির হাত শক্ত করছেন। বাংলার মানুষ এটা মেনে নেবে না।’ আর আজ, মঙ্গলবার সপ্তম দফার ভোটগণনার পর ফল দাঁড়িয়েছে—তৃণমূল কংগ্রেস ৪ লাখ ১৮ হাজার ৫৮৩ ভোট, কংগ্রেস ৩ 🤪লাখ ৫৯ হাজার ২৪৫ ভোট এবং বিজেপি ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৩৪৫ ভোট। সুতরাং অভিষেকের ভবিষ্যদ্বাণী একেবারে মিলতে চলেছে। ইউসুফ পাঠান ৫৯ হাজার ৭১৬ ভোটে এগিয়ে।