তাপস রায় তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। তারপর উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হন। তাপসবাবুকেই বাজি ধরেছিল বিজেপি। তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এখানে এসে রোড–শো করেন। তার জেরে জয়ের ব🍰্যবধান কমলেও উত্তর কলকাতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই রয়েছে। এই নিয়ে টানা চারবার জিতলেন সুদীপ। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, শনিবার কালীঘাটে নিজের বাড়িতে দলের বৈঠকে সেই জয়ের নেপথ্য কাহিনী শুনিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কাহিনী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানতেন না বলে জানিয়েছেন তৃণমূ😼লনেত্রী। আর তমলুকের তরুণ তৃণমূল কংগ্রেসের পরাজিত প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যকে হালকা বকেছেন নেত্রী। কারণ প্রচারের গতি শ্লথ ছিল।
এই বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জয়ী সাংসদদের বলেছেন, শেষ তিনদিন তাঁকেই𓄧 উত্তর কলকাতা নিয়ে পড়ে থাকতে হয়েছে। সুদীপ দা সেট🔥া জানতেও পারেননি। তিনি কেমন করে উত্তর কলকাতার আসনটি বের করে এনেছেন। এখানে ৩০০ ফোন করা হয়েছিল বলে জানিয়ে দেন আর এক নেতা। এমনকী কুণাল ঘোষ, বেলেঘাটার বিধায়ক পরেশ পাল–সহ কয়েকজনকে বারবার ফোন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তর কলকাতা নিয়ে বলে সূত্রের খবর। এই গোটা প্রক্রিয়া নিজের মাথা থেকে বের করে কলকাতায় বিজেপিকে ঢুকতেই দেননি তৃণমূলনেত্রী। উত্তর কলকাতা এবং দক্ষিণ কলকাতা দুটি আসনেই কুপোকাত বিজেপি।
আরও পড়ুন: রাজবাড়ির গৃহবধূর নামে আসে টাকা👍 নয়ছয়, অভিযোগ সা🐎মনে আসতেই তালা পড়ল বিজেপি অফিসে
উত্তর কলকাতা কেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিনটি কর্মসূচি করেন। নরেন্দ্র মোদী যে পথে রোড–শো করেছিলেন, পরের দিন একই পথে পদযাত্রা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তফাত ছিল একটাই। প্রধানমন্ত্রী হুডখোলা গাড়িতে করে রোড–শো করেন। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পায়ে হেঁটে তা করেন। সেখানেই বিজেপির ‘প্রতীকী মৃত্যুঘণ্টা’ বানিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এই বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ওটা বানানোর নেপথ🤪্যে ছিলেন বিধায়ক পরেশ পাল। এই লোকসভা কেন্দ্র নজরকাড়া হয়ে উঠেছিল তাপস–সুদীপের দ্বৈরথে। উত্তর কলকাতায় গুঞ্জন ছিল, সুদীপের বিরুদ্ধে ‘অন্তর্ঘাত’ করতে প্রস্তুত একটি টিম। তাতেও প্রলেপ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা সুদীপ জানতেই পারেননি।
তমলুকের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যের প্রচার নিয়ে 🌜শনিবারের ব🌸ৈঠকে ‘উষ্মাপ্রকাশ’ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, তৃণমূলনেত্রী বলেছেন, দেবাংশুর বয়সে তিনি সকাল ৭টা থেকে রাস্তায় পড়ে থাকতেন। বেলা ১২টার সময় তিনি বাড়ি থেকে বেরোতেন না। দলের কাছে তমলুক থেকে অভিযোগ এসেছে যে, দেবাংশুকে সকালের প্রচারে পাওয়া যেত না। তখন প্রচণ্ড গরম পড়লেও অন্যান্য দলের প্রার্থীরা সকালেই প্রচার করতেন। আবার বিকেলে প্রচার করতেন। সেখানে দেবাংশু মাঝের সময়টাকেই বেছে নিয়েছিলেন। দেবাংশুকে সকালে পাওয়া যায়নি বলেই অভিযোগ। তাই ওই তরুণ নেতাকে ‘বকেছেন’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে সূত্রের খবর।