লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে তত বেলাগাম মন্তব্য প্রকাশ্যে আসছে। আর তা থেকে কেউ বাদ যাচ্ছেন না। আগামী ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার লোকসভা নির্বাচন হবে। বাংলায় তিনটি জেলায় তা হবে। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার। এই আবহে গত বৃহস্পতিবার চালসায় মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়কে দেখে চোর চোর ꦫস্লোগান দেওয়া হয়। তা নিয়ে মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির সভা থেকে সুর চড়ান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আমার গাড়ি দেখে ওরা চোর বলেছে। সেদিন ওদের জিভ টেনে নিতে পারতাম। ভোট বলে কিছু বলিনি।’ আর মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য প্রেক্ষিতে পাল্টা আবার বেলাগাম মন্তব্য করলেন, বর্ধমান দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। যা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
আজ, বুধবার দুর্গাপুরের সগড়ডাঙ্গা মাঠে প্রাতঃভ্রমণে যান দিলীপ ঘোষ। আর সেখানে গিয়েই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বেলাগাম মন্তব্য করেন। একইসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা, মন্ত্রীদের আক্রমণ করেন দিলীপ। নির্বাচন কমিশনকেও রেয়াত করেননি তিনি। এমনকী রামনবমীতে একই মেজাজে তাঁকে দেখা যাবে বলে হুঙ্কার ছাড়েন দিলীপ ঘোষ। সুতরাং আজ সকাল থেকেই তাঁর মন্তব্য নিয়ে ব্যাপক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে রাজ্য–রাজনীতিতে। দিলীপ ঘোষ বলেཧন, ‘নির্বাচন কমিশনকে মেসো বলেছিলাম বলে ওদের পেট খারাপ হয়ে গিয়েছিল। এখন ওরা পুতুল বলছে সেটা ভাল লাগছে? কে কার পুতুল বোঝা যাবে🎐। ওরা সকাল থেকে গালিগালাজ করেন রাজ্যপালকে। আর প্যাঁচে পড়লেই চাচা প্রাণ বাঁচা। এরা হচ্ছে শক্তের ভক্ত নরমের যম। যে টাইট দেবে তার কাছে গড়াগড়ি দেবে।’
আরও পড়ুন: ফৌজদারি মামলা–কোটিপতি প্রার্থীর সংখ꧅্যায় এগিয়ে বিজেপি, প্রকাশ্য এল তথ্য
এরপরই জিভ টেনে ছিঁড়ে ফেলার মন্তব্যের বিরুদ্ধে আক্রমণ করতে গিয়ে বেলাগাম হয়ে পড়লেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, ‘জিভ টেনে ছিঁড়বেন? সেদিন চলে গিয়েছে। কিছুই ছিঁড়তে পারবেন না। এবার মানুষ যা করার সব করবে। জুতো, লাঠি, ঝাঁটা দেখাচ্ছে আপনাদের নেতাদের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এটাও শেষ জীবনে দেখতে হচ্ছে। পাপীদের নিয়ে রাজত্ব চালাচ্ছেন। তাই অপমান সহ্য করতে হচ্ছে। উনি অবসর নিন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেলটাই বৃদ্ধাশ্রম হবে।’ আগেও দিলী𒅌প ঘোষ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে নজিরবিহীন ভাষায় মন্তব্য করেছিলেন। তার জন্য নির্বাচন কমিশন সেন্সর করেছিল। এবার আবার ‘কিছুই ছিঁড়তে পারবেন না’ বলে অশ্লীল ইঙ্গিত করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।