লোকসভা নির𓂃্বাচনের প্রাক্কালে আবার বাংলায় প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠলেন উপরাষ্ট্রপতি ꧟জগদীপ ধনখড়। একদা তিনি বাংলার রাজ্যপাল ছিলেন। আর তাঁর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছেছিল। এবার রাজ্যসভার সাংসদ পদে শপথ নিতে যান মমতাবালা ঠাকুর। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ। শপথ নিতে গিয়ে তিনি হরিচাঁদ–গুরুচাঁদ ঠাকুরের নাম নেন। আর তখনই শপথ অনুষ্ঠান বাতিল করে দেন জগদীপ ধনখড় বলে অভিযোগ। এবার এই ঘটনায় পথে নামলেন মতুয়ারা। বনগাঁ ও হেলেঞ্চায় প্রতিবাদ সভা করে সেখানে পোড়ানো হয় রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের কুশপুতুল।
লোকসভা নির্বাচনে মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে চায় বিজেপি। তাই এখানে এবারও প্রার্থী করা হয়েছে শান্তনু ঠাকুরকে। তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। সদ্য তিনি বড়মার ঘর দখল করতে হাতুড়ি দিয়ে গেটের তালা ভেঙে ছিলেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা জুতো পরে বড় মায়ের ঘরে ঢুকে পড়েছিল। তা নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয় রাজ্য–রাজনীতিতে। সরব হন মমতাবালা ঠাকুর। আর তারপরই শপথ নেওয়ার সময় হরিচাঁদ–গুরুচাঁদ ঠাকুরের নাম নিলে তাঁর শপথ 🍒বন্ধ করে দেন জগদীপ ধনখড়। এই বিষয়ে মমতাবালা বলেন, ‘২০১৪ সালে কপিলকৃষ্ণ ঠাকুর হরিচাঁদ–গুরুচাঁদ ঠাকুরের নামেই শপথ নিয়েছিলেন সংসদে। আমি নিজেও আগে লোকসভার সাংসদ হিসাবে শপথ 🅷নেওয়ার সময় ঠাকুরের নাম নিয়েছিলাম।’
আরও পড়ুন: ‘মানুষ ইন্ডিয়া জোটকে সুযোগ দিলে প্রধানমন্ত্রী জেলে 🍌থাকবেন’, হুঁশিয়ারি মিসা ভারতীর
মতুয়া সমাজের প্রথম নারী হিসেবে বুধবার রাজ্যসভায় শপথ নেন মমতাবালা ঠাকুর। কিন্তু তাঁর সঙ্গে যা ঘটেছে তাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন মমতাবালা ঠাকুর। তাঁর দাবি, মোদী–শাহের নির্দেশেই এই কাজ করা হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে রাজভবনের বাইরে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘হরিদাঁদ ঠাকুর ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের নাম করার জেরে রাজ্যসভার চেয়⛦ারম্যান জগদীপ ধনখড় শপথ অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেন। এই জন্যই আমরা ওদဣেরকে বিজেপিকে বাংলা বিরোধী বলি। কতটা ঔদ্ধত্য দেখুন।’
এবার বৃহস্পতিবার মতুয়াদের বিক্ষোভ চরমে ওঠে। আর তা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় গোটা বাংলায়। এই বিষয়ে মমতাবালা ঠাকুর বলেন, ‘রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে শপথ নেওয়ার সময় আমাদের ইষ্টদেবতার নাম আমাকে উচ্চারণ করতে দেওয়া হয়নি। তারই প্রতিবাদে মতুয়ারা রাস্তায় নেমেছেন।’ আর বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাসের কথায়, ‘একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে জেতাতে পারেননি জগদীপ ধনখড়। তাই প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে এই কাজ করেছেন।’ আর বনগাঁর বিদায়ী বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের কটাক্ষ, ‘একজন অশিক্ষিত মানুষকে সংসদে পাঠালে যা হয়। ভারতের সংবিধান তো মানতে হবে। ওঁর উচিত ছিল শপথের শুরুꦗতে বা শেষে বলা ‘জয় হরিচাঁদ, জয় গুরুচাঁদ’। আমি তাই বলেছিলাম। এটা করলে সমস্যা হতো না।’