লোকসভা নির্বাচন এখন দুয়ারে। প্রথম দফার ভোট হবে ১৯ এপ্রিল। কিন্তু এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ফল নিয়ে দলের অন্দরেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কারণ হরিণঘাটার বিধায়ক এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্র থেকে। আবার যিনি আসানসোলের বিধায়ককে হঠাৎ করে মেদিনীপুরে লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, মেদিনীপুরের সাংসদকে বর্ধমান–দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে পাঠান🙈ো হয়েছে। পরীক্ষা–নিরীক্ষা এখানেও থামেনি। তাই রায়গঞ্জের বিদায়ী সাংসদকে দক্ষিণ কলকাতায় প্রার্থী করা হয়েছে। বনগাঁর বিধায়ক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বারাসতে। সুতরা꧋ং বিস্তর ঝুঁকি নেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। তাতে কি সাফল্য আসবে? উঠছে প্রশ্ন।
বিজেপি সূত্রে খবর, ভোট হবে নরেন্দ্র মোদীর ক্যারিশ্মায়। সেখানে কেন্দ্র বদল ফ্যাক্টর নয়। যদিও এই কথা সবাই মানতে নারাজ। বরং এই ঝুঁকির ফলে বড় সংখ্যায় আসন হারাতে হতে পারে বিজেপিকে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। মেদিনীপুর কেন্দ্রের বদলে দিলীপ ঘোষকে বর্ধমান–দুর্গাপুর কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। এসএস আলুওয়ালিয়া টিকিট পাননি। রায়গঞ্জের বিদায়ী সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীকে দক্ষিণ কলকা൩তায় মালা রায়ের মুখে ফেলা হয়েছে। আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল মেদিনীপুর কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। নদিয়ার হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকার বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্র থেকে লড়বেন। বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়ক স্বপন মজুমদারকে বারাসত লোকসভা কেন্দ্রে কাকলি ঘোষদোস্তিদারের বিরুদ্ধে লড়তে হবে। তাই এখ🦋ন অঙ্ক কঠিন মনে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘🍃বা* ছিঁড়ে তাল গাছে তুলে দেব’, অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করলেন বিজেপি প্রার্থী অসীম সরকার
এদিকে এই প্রার্থী বদলের কৌশল নিয়ে এখন আশঙ্কা করছেন বিজেপি নেতারা। দলের অন্দরে তা নিয়ে আলোচনাও হয়েছে বলে সূত্রের খবর। যদিও বিজেপি নেতারা প্রকাশ্যে এই নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। কিন্তু প্রার্থীরা নিজেরা ঘনিষ্ঠমহলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন বলে খবর। সে কথা কানে এসেছে রাজ্য নেতৃত্বের। রাজ্য নেতৃত্বের মতে, লোকসভা নির্বাচন হবে নরেন্দ্র মোদীর মুখকে সামনে রেখে। সেখানে কে প্রার্থী কোন কেন্দ্রে সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। অসন্তুষ্ট দিলীপ ঘোষ প্রকাশ্যেই বলেছেন, ‘কার কেন্দ্র কোনটা? সব কেন্দ্রই আমার! যেখান থেকে দাঁড় করাবে, সেখান থেকেই জিতব!’ এই পরিস্থিতিতে হতাশা নেমে এসেছে⛎ দিলীপের মনে। তাই সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে আজ কুরুচিপূর্ণ ভাষায় আক্রমণ করেছেন।
অন্যদিℱকে বিধায়কদের দক্ষতাকে লোকসভা নির্বাচনে কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি। তাই যে বিধায়কদের জনপ্রিয়তা রয়েছে, তাঁদেরকেই ভোটে প্রার্থী করা হয়েছে। কিন্তু এই ঘটনা মেনে নিতে পারেননি অসীম সরকারও। তাই গালিগালাজ করেছেন। যে ভিডিয়ো তৃণমূল কংগ্রেস এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন। যা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। সেই ভাষা লেখার অযোগ্য। যদিও সেই ভিডিয়🗹ো যাচাই করে দেখেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল। এই পরীক্ষা নিরীক্ষা বিজেপি করার পর জেতা নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় বলেন, ‘বর্তমান সাংসদদের অন্য কেন্দ্রে সরিয়ে নিয়ে বিজেপি লড়াইয়ের আগেই হার স্বীকার করে নিয়েছে। হারের ভয়েই এই অদলবদল। কত ভোটে হার হবে, সেটা সময়ই বলবে।’