লোকসভা নির্বাচন এখন দুয়ারে। সব রাজনৈতিক দলই প্রচারে নেমে পড়েছে ময়দানে। মাথার উপর চাঁদিফাটা সূর্যের তাপ নিয়েই এখন প্রচার শুরু হয়েছে। হালকা খাবারও খাচ্ছেন সব প্রার্থীই। এবারের লোকসভা নির্বাচনে পান্তা ভাত থেকে ডাবের জল—সবই এসেছে প্রার্থীদের পাতে। এই আবহে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মহুয়া মৈত্র জোরদার প্রচার শুরু করেছেন। যেখানেই প্রচারে যাচ্ছেন জনসমর্থনও পাচ্ছেন ভালই। কিন্তু আজ, শুক্রবার প্রচারে বেরিয়ে ‘গো–ব্যাক’ স্লোগানের মু🐠খে পড়লেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। আর এসব দেখে নিজেই মেজাজ হারালেন। যদিও পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এদিকে টাকার বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করা সংক্রান্ত মামলায় মহুয়া মৈত্রকে নয়াদিল্লিতে ইডি তলব করলেও, তিনি যাননি। পরিষ্ক🀅ার জানিয়ে দিয়েছেন, প্রচারে ব্যস্ত থাকবেন, তাই নয়াদিল্লি যেতে পারবেন না। আবার কৃষ্ণনগরবাসীর মন জয় করে তা ভোটব্যাঙ্ক ভরাতে এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়ছেন না। বিরোধীরা মহুয়ার বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন কাণ্ডের কথা তুলে ধরলেও পাল্টা বাংলাকে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে ধরছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী। এখানে তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী দিয়েছে রাজবধূ অমৃতাকে। তাই এখন জোরদার লড়াই চলছে।
আরও পড়ুন: রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রচারে বꦺেরিয🐲়ে অসুস্থ বাঁশবেড়িয়ার পুরপ্রধান, গরমেই অস্বস্তি
অন্যদিকে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত চাꦦপড়া বিধানসভায় শুক্রবার প্রচার করতে যান মহুয়া মৈত্র। লাল শাড়ি পরে হুডখোলা গাড়িচে প্রচার চলছিল ভালভাবেই। কিন্তু চাপড়া ১ নম্বর ব্লক এলাকায় হঠাৎ তৃণমূল কংগ্রেসেরই কয়েকজন কর্মী তাঁকে দেখে ‘গো–ব্যাক’ স্লোগান দিতে থাকেন। এমন অভিযোগ উঠে এসেছে। আর তাতেই মেজাজ হারান মহুয়া মৈত্র। মোবাইলে এই বিক্ষোভের ভিডিয়ো রেকর্ড করতে দেখতে পান মহুয়া মৈত্রকে। সেটা দেখে ওই গাড়ি থেকে মাইক্রোফোন হাতে মহুয়া মৈত্র সাফ বলেন, ‘ভিডিয়ো বন্ধ করুন।’
এই তেতে ওঠা রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কমব্যাট করতে এগিয়ে আসে পুলিশ। সকলকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়। আর মহুয়াকে উত্তেজিত হয়ে বলতে থাকেন, ‘ভিডিয়ে বন্ꦇধ করবেন? নাকি আমি কিছু করব?’ কিন্তু কেন এমন ঘটনা ঘটল তা বুঝতে পারছেন না অনেকেই। একেবারে আক্রমণাত্মকভাবে চিৎকার করতে থাকেন মহুয়া। তাতেই পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে গোটা বিষয়টি চাউর হয়ে যায়। মহুয়ার সঙ্গে থাকা কর্মীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখানে নেমে পড়েন। কিন্তু কারা তাঁকে ঘিরে এমন স্লোগান তুললেন বা বিক্ষোভ দেখালেন তা এখনও জানা যায়নি। নিজের সংসদীয় এলাকায় বিক্ষোভের মুখে পড়ে মহুয়ার মেজাজ হারানো অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বিক্ষোভ যারা দেখিয়েছ🦋িল তারা বিজেপি লোকজন কিনা তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।