এবার বিষ্ণুপুরের বিদায়ী সাংসদ এবং বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁকে নাম না করে তোপ দাগলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, সোমবার বাঁকুড়ার দলীয় প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী সমর্থনে প্রচার করেন তিনি। বাঁকুড়ায় দাঁড়িয়ে দুটি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীর কড়া সমালোচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা ♒বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে এল সৌমিত্র খাঁর ব্যক্তিগত জীবনের কথা। তবে তিনি নাম নেননি। বাঁকুড়ার রাইপুরের জনসভা থেকে বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁয়ের নাম না করেই তাঁকে কটাক্ষ করলেন।
এদিকে নাম না করে বাঁকুড়া কেন্দ্🧜রের বিদায়ী সাংসদ তথা বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকারের সমালোচনাও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আর একজন বিষ্ণুপুর, নাই বা বললাম, জানি না ডিভোর্স হয়েছে কি না, ত🃏াঁর স্ত্রী দাঁড়িয়েছে সেখানে। তাঁর যদি আমি ফটোগুলি খুলি তাহলে বিষ্ণুপুরের মানুষ বুঝতে পারবে, বিজেপি কত আদর্শবান দল। যাঁরা মিথ্যে কথা বলে বেড়ায়। সব ছবি আমার কাছে আছে।’ বাঁকুড়ায় সাংসদ থাকার পরও বড় কোনও উন্নয়ন করতে দেখা যায়নি সৌমিত্র খাঁকে বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের। তার মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্য বিজেপি প্রার্থীকে চাপে ফেলল বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘আমরা আপনার হুঙ্কারে ভয় পাﷺই না’, বাঁকুড়া থে෴কে মোদীকে পাল্টা জবাব মমতার
অন্যদিকে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে বিষ্ণুপুর আসন থেকে লড়াই করে জিতেছিলেন সৌমিত্র খাঁ। তখন এই বিষ্ণুপুরের বুকে সৌমিত্র খাঁয়ের হয়ে প্রচার চালাতে দেখা গিয়💫েছিল তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী সুজাতা মণ্ডলকে। বলা যেতে পারে সুজাতার একক প্রচেষ্টা সৌমি💖ত্র সংসদে যেতে পারেন। কারণ তিনি অসুস্থ ছিলেন। প্রচার করতে পারেননি নিজে। সেই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন সুজাতা। আজ সুজাতাই বিপক্ষে প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছে সৌমিত্রর। কারণ তাঁদের সম্পর্কে ফাটল ধরে গিয়েছে। সেখান থেকে বিবাহবিচ্ছেদও হয়। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন সুজাতা।