💙 লোকসভা ভোটের আগে মেরুকরণ করতে শীতলকুচির মতো মৃতদেহ চাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাই কেন্দ্রীয় এজেন্সির ওপর বারবার হামলা করছে তার গুন্ডারা। রবিবার সন্ধ্যায় পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরায় সাংবাদিক বৈঠক করে এই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ভূপতিনগর হামলায় NIAকে কাঠগড়ায় তোলায় এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেলাগাম আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, সন্দেশখালির ঘটনা থেকে নজর ঘোরাতে এই পথ বেছে নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুভেন্দু অধিকারীর দাবি
এদিন শুভেন্দু🧸বাবু বলেন, ‘নারী নির্যাতন এবং সন্দেশখালির ঘটনা, তিনি বুঝেছেন, ৫০০ -১০০০ – ১২০০ দিয়ে এদের মুখ বন্ধ করা যাবে না। রাজ্যের মহিলারা ১৯ এপ্রিল থেকে ১ জুন, সাত দফাতেই তার বদলা নেবেন বলে প্রস্তুত। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসব বলে গুন্ডাদের উৎসাহিত করছেন। শাহজাহানদের সমর্থন করছেন। আরও যাতে এই ধরণের গুন্ডামি ঘটে ও কেন্দ্রীয় এজেন্সি ও কেন্দ্রীয় বাহিনী যাতে আক্রান্ত হয়। গত বিধানসভা ভোটে শীতলকুচির মতো কিছু শবদেহ তাতে পাওয়া যায়। সেটাকে দেখিয়ে চুরি - দুর্নীতি ও আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার অবনতির মতো বিষয় থেকে চোখ ঘোরাতে ও শীতলকুচির মতো মেরুকরণের রাজনীতি করছেন। সঙ্গে সন্দেশখালি ইস্যু থেকে ভোটারদের নজর সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন’।
মমতার অভিযোগ
শনিবার ভূপতিনগরে NIAএর ওপর হামলার ঘটনায় পালটা NIAএকেই দায়ী করে মমতা🔴 বলেন, ‘আমি যখন হেমতাবাদ থেকে বেরোচ্ছিলাম সাংবাদিকরা আমাকে প্রশ্ন করছে, কালকেও ভূপতিনগরে হামলা হয়েছে। হামলাটা কে করেছে? হামলাটা মেয়েরা করেনি, হামলা করেছে NIA. গদ্দার জানে হারবে, তাই লোকের বাড়ি গিয়ে গিয়ে... কোথায় একটা চকোলেট বোম ফেটেছিল ২০২২ সালে… আর মধ্যরাতে গিয়ে যদি মহিলার বাড়িতে অত্যাচার করে, গ্রামে ঢুকে অত্যাচার করে, মহিলারা কী করবে? শাঁখা - পলা পরে বসে থাকবে? না মাথায় ওড়না দিয়ে বসে থাকবে? তারা তাদের ইজ্জত – সম্মান রক্ষা করবে না’? এর পর রবিবার NIAএ আধিকারিকদের বিরুদ্ধেই গ্রামের মহিলাদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করে রাজ্য পুলিশ।
NIAর জবাব
রাজ্যের অভিযোগ অস্বীকার করে এক বিবৃতিতে NIA ꦗজানিয়েছে, শনিবার ভূপতিনগরে তাদের পদক্ষেপে কোনও দুরভিষন্ধি ছিল না। সংস্থার বিরুদ্ধে বেআইনি কাজ করার যে তকমা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে ও তাকে ঘিরে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে তা দুর্ভাগ্যজনক। নাড়ুয়াবিলা গ্রামে দেশি বোমা তৈরির যে জঘন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছিল তার বিরুদ্ধে জারি তদন্ত সম্পূর্ণ বৈধ, আইনসিদ্ধ। ২০২২ সালের ডিসেম্বরের ওই ঘটনায় ২০২৩ সালের জুন মাসে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার হাতে নেয় NIA.
♕NIAর তরফে জানানো হয়েছে, বিনা প্ররোচনায় একদল উন্মত্ত জনতা তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। সংস্থার আধিকারিকদের আইনি পদক্ষেপ করায় বাধা দিতে এই হামলা করা হয়েছে। ৫ জায়গায় স্বতন্ত্র সাক্ষীর উপস্থিতিতে তল্লাশি চলছিল। এর পর পদ্ধতি মেনে গ্রেফতার করা হয়েছে।