রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ উঠেছে। যা ঘিরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। আর এই বিতর্কের মাঝেই গতরাতে কলকাতায় এসে পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী রাত কাটালেন সেই রাজভবনেই। আজ বাংলায় পরপর একাধিক কর্মসূচি আছে প্রধানমন্ত্রীর। উল্লেখ্ꦇয, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। এর কয়েক ঘণ্টা পরে রাত ১০টা নাগাদ রাজভবনে পৌঁছে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ, শুক্রবার তিনটি কেন্দ্রে জনসভা রয়েছে মোদীর। সকাল সকাল তিনি সেই উদ্দেশে রাজভবন থেকে বেরোবেন। তবে এই শ্লীলতাহানীর বিতর্কের মাঝে মোদীর রাজভবনে রাত কাটানোর বিষয়টি বেশ উল্লেখযোগ্য।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেন রাজভবনেরই এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজভবনের পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। রিপোর্ট অনুযায়ী, মহিলার অভিযোগ, ২০১৯ সাল থেকে রাজভবনের অস্থায়ী কর্মী হিসাবে কাজ করছেন তিনি। থাকতেন রাজভবনের কর্মীদের হস্টেলে। সম্প্রতি তাঁকে একটি বিশেষ কাজের দায়িত্ব দেন রাজ্যপাল। গত ১৯ এপ্রিল তাঁকে বায়ো ডেটা নিয়ে রাজভবনে নিজের দফতরে দেখা করতে বলেন সিভি আনন্দ বোস। ২৪ এপ্রিল বেলা সওয়া বারোটা নাগাদ বায়ো ডেটা নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গ🐻ে দেখা করেন ওই মহিলা। সেখানে রাজ্যপাল তাঁকে বলেন, তাঁর অস্থায়ী চাকরি স্থায়ী হয়ে যাবে। মহিলাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের ব্যবস্থা করবেন তিনি। একথা বলে রাজ্যপাল মহিলার সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন বলে অভিযোগ। তাঁকে কুপ্রস্তাব দেন ও শ্লীলতাহানি করেন। এই ঘটনার পর রাজ্যপালের দফতর ছেড়ে বেরিয়ে যান মহিলা।
মহিলার অভিযোগ, বৃহস্পতিবার তাঁকে আবার নিজের দফতরে ডেকে পাঠান রাজ্যপাল। কিন্তু পূর্ব অভিজ্ঞতা ভালো না হওয়ায় এদিন দফতরের সুপারভাইজারকে নিয়ে রাজ্💛যপালের কাছে যান তিনি। দফতরে ঢুকতেই সুপারভাইজারকে ঘর থেকে⭕ বেরিয়ে যেতে বলেন সিভি আনন্দ বোস। এর পর ফের তাঁকে কুপ্রস্তাব দেন রাজ্যপাল। তাঁর শ্লীলতাহানি করেন। দ্বিতীয়বার শ্লীলতাহানির মুখে পড়ে রাজভবন থেকে ছুটে বেরিয়ে আসেন মহিলা। সরাসরি চলে যান পুলিশ ফাঁড়িতে। এর পর তাঁকে হেয়ার স্ট্রিট থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
এদিকে আইনজ্ঞরা বলছেন, সাংবিধানিক রক্ষাকবচের জেরে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেꦕপ করার এক্তিয়ার নেই পুলিশের। এদিকে নির্বাচনে রাজনৈতিক ফয়দা তুলতে এই অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে রাজভবনের বিবৃতিতে। রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ প্রকাশিত বিবৃতিতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস লিখেছেন, ‘সত্যের জয় হবেই। বানানো বিষয়ে আমি মাথা ঘামাতে রাজি নই। আমার সম্মানহানি করে কেউ যদি নির্বাচনী ফয়দা পেতে চায় ঈশ্বর তাদের কল্যাণ করুন। বাংলার দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমার লড়াই কোনও ভাবে থামতে পারবে না।’
এদিকে রাজভবনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কলকাতা, ব্যারাকপুর ও দার্জিলিংয়ে রাজভবনের পဣরিসরে প্রবেশ করতে পারবেন না রাজ্য়ের আইনমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এদিকে রাজভবনে পুলিশের প্রবেশের ক্ষেত্রেও লাগাম টানা হয়েছে।