🌠 লোকসভা ভোটে ফল খারাপ হলে পরিণতি ভোগার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের তৈরি থাকার হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় পদাধিকারীদের তো বটেই, কোথাও দলের ফল খারাপ হলে সেখানকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরও সরিয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেন তিনি। অভিষেকের এই মন্তব্যে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। প্রশ্ন উঠছে, কী ভাবে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সরাতে পারেন কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা?
আরও পড়ুন: ༒টর্নেডোর ত্রাণেও দুর্নীতির অভিযোগ! সরকারি অফিসারদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ স্থানীয়দের
ജবুধবার সিউড়িতে বীরভূম জেলার ২টি আসন বোলপুর ও বীরভূমের দলীয় কর্মীদের নিয়ে সাংগঠনিক বৈঠক করেন অভিষেক। সেখানে লোকসভা ভোটে কোথাও ফল খারাপ হলে সেখানকার দলীয় কর্মীদের শাস্তির জন্য তৈরি থাকতে বলেন তিনি। অভিষেক বলেন, পুরসভায় কোনও ওয়ার্ডে ফল খারাপ হলে কাউন্সিলর ও দলের ওয়ার্ড সভাপতিকে পদ ছাড়তে হবে। গোটা পুরসভায় ফল খারাপ হলে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও শহর সভাপতিকে পদ ছাড়তে হবে। পঞ্চায়েতে কোনও এলাকায় ফল খারাপ হলে বুথ সভাপতি ও পঞ্চায়েত সদস্যকে পদ ছাড়তে হবে। ব্লকে ফল খারাপ হলে ব্লক সভাপতিকে পদ ছাড়তে হবে।
💞অভিষেকের এই বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন রাজ্যসভায় বাম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, তৃণমূল কতবড় স্বৈরাচারী তা অভিষেকের মনোভাব থেকেই স্পষ্ট। কোথায় ওদের দলের কে সভাপতি হবেন সেটা ওদের ব্যাপার। কিন্তু নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে পদত্যাগ করার নির্দেশ কী ভাবে দল দিতে পারে। আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন কোনও ব্যক্তির পক্ষে তৃণমূল করা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: 🎃দাড়িভিটকাণ্ডে NIA তদন্তের বিরোধিতা করে ডিভিশন বেঞ্চেও মুখ পুড়ল মমতা সরকারের
ꦍবিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, ‘তৃণমূল তো আর দল নেই। ওটা এখন প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। নতুন আর্থিক বছরের শুরুতে কোম্পানির মালিক কর্মীদের টার্গেট বুঝিয়ে দিচ্ছেন। সঙ্গে এও বলে দিয়েছেন টার্গেটে পৌঁছতে না পারলে চাকরিতে ইস্তফা দিতে হবে। এর সঙ্গে রাজনীতি বা অন্য কোনও নীতি আদর্শের কোনও সম্পর্ক নেই। পুরোটাই লেনদেন।’