সন্দেশখালি ঘাট থেকে নামার পরে কংক্রিটের টানা রাস্তা চলে গিয়েছে সন্দেশখালির ভেতরের দিকে। এই সেই সন্দেশখালি যে জায়গার কথা বার বার বাংলায় এসে উল্লেখ করেছেন নরেন্দ্র মোদী। এই সেই সন্দেশখালি যেখানে আক্রান্ত হয়েছিলেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। এই সেই সন্দেশখালি যেখানে শেখ শাহজাহান, শিবু হাজরার অত্যꦏাচারের কাহিনি আজও মানুষের মুখে মুখে রটে।
তবে🐻 যা রটে তার কিছু কি ঘটে? নাকি সবটাই ভুয়ো? ঠিক যেমন তৃণমূল বলছে। সবটাই ভুয়ো, মিথ্যে কথা, সাজানো ঘটনা𓂃।
প্রশ্নটা করতেই ফুঁসে উঠলেন সন্দেশখালির বধূ…। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার প্রতিনিধিকে তিনি বলেন, অত্যাচারের কথা মিথ্য়ে নয়। আমাদের গলাকে অ𒀰ন্য গলায় বসিয়ে দিচ্ছে। সেটাকেই স্টিং ভিডিয়ো বলে বলছে।
বাড়ির জানালার ভেতর থেকে তিনি বলেন, ‘ভয়ের মধ্যে আছি। এখন ওরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে। তৃণমূলের পায়ের নীচে থেকে মাটি সꦏরে গিয়েছে। এখন বলছে ঘর দে🐷ব, ভোট দিন।’
কিন্তু শেখ শাহাজাহান তো নেই?
প্রশ্ন শুনে তিনি বলেন, ' শেখ শাহজাহান না থাকলে কী হবে, তার থেকেও বড় দুষ্কৃতীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমার স্বামীকেই কেস দিয়েছে। আমাদের ভয় দেখাচ্ছে। পাঁচ দফায় কেস দিয়েছে। ভোটের অপেক্ষায় আছি। আমাদের চোখের জলের লড়💝াই। মুখ্যমন্ত্রীকে বার বার ডেকেছি। কিন্তু তিনি তো এলেন না। ওনার ইশারায় সব কিছু হয়েছে। ওনাকে আর আসতে হবে না। কী করতে আসবেন? জিতিয়ে দিলে তিনি আসবেন? এখন এসে কী করবেন? '
বলেন চলেন তিনি। ‘আগে তো সবাই তৃণমূল করত। তৃণমূলের বাহিনী দেখেছেন? করোনা ভাইরাসের থেকেও ভয়ঙ্কর। সত্যি বলছি। সন্দেশখালি মহিলা হিসাবে বলছি। উত্তম সর্দার, শিবু হাজরার ভয়ে মানুষ থাকত। আমি ম😼িথ্যে বলছি না। যখন তখন ডেকে নিয়ে যেত। আমাদের মহিলাদের ডেকে নিয়ে যেত। বলত তোমার বউকে যেতে হবে। থানায় গেলে বলত দাদার কাছে যান।…অনেক মানুষের সঙ্গে এই অত্যাচার হয়েছে। এরকম অত্যাচার আগে ছিল না। তৃণমূল বাহিনী এই অত্যাচার করেছে। রাজ্য পুলিশে আস্থা নেই। ওরা ঠিক থাকলে এই দিনটা দেখতে হত না। আগের ভোটে আমরা ঘর ছেড়ে লুকিয়ে ছিলাম। ওরা বলত…দাদা ডাকলেই যেতে হবে….দাদার যখন দরকার হবে….দাদার যখন মনে হবে…বিস্ফোরক সন্দেশখালির মহিলা…’
কিছু দিন আগে এই অত্যাচারের কথা জানাজানি হওয়ার পরে জনরোষ আছড়ে পড়েছিল শিবু হাজরౠার পোলট্রি ফার্ম, ভেড়ির উপর। আলাঘরে চলেছিল ভাঙচুর। সেই এলাকার বাসিন্দা এক মহিলার দাবি, বছরের পর বছর ধরে চলছে এই অত্যাচার। এখন শেখ শাহাজাহানরা জেলের ভেতরে রয়েছে। কিন্তু বাইরে বের হলে কী যে হবে ভাবতেই হাত পাಞ ঠান্ডা হয়ে যায়…