মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোষানলে পড়ে অভিষেকের শরণে সমঝোতা করলেন মিনাখাঁর তৃণমূল বিধায়ক ঊষারানি মণ্ডল ও তাঁর স্বামী মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডল। সোমবার ক্যামাক স্ট্রিটে তাঁদের স🎃ঙ্গে বৈঠক করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে শনিবার হাড়োয়ায় তৃণমূল সুপ্রিমোর সভায় হাজির না থাকার কারও ব্যাখ্যা করেন ঊষারানি। স্পষ্ট জানালেন, গোষ্ঠীদ্বন্দের জেরে দলে কোনঠাসা হয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: এবার রাজপথে ‘মৃত্যুঘণ্টা’ 𒁃বাজালেন মমতা, নেপথ্যে সেই পরেশ পা🐻ল, BJP-র প্রশ্ন কার?
পড়তে থাকুন: সরকারি শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন বন্ধে প্রয়োজ♒নীয় পদক্ষেপ নিতে ৮ সপ্তাহ সময় দিল♒ হাইকোর্ট
সূত্রের খবর, শনিবা𓆉র মুখ্যমন্ত্রীর সভা শেষ হওয়ার পরেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতর থেকে ফোন করে তাদের 🅷হাজিরা দিতে বলা হয়। সেই মতো সোমবার ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে হাজিরা দেন কত্তা - গিন্নি। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ তাঁদের বৈঠক হয়।
সূত্রের খবর, অভিষেককে ঊষারানি জানিয়েছেন, স্থানীয় তৃণমূল নেতা খালেক মোল্লার দ্বারা বারবার অপমানিত হয়েই মুখ্যমন্তꩲ্রীর সভায় না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁরা। হাড়োয়া ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তথা হাড়োয়া ২ নম্বর ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি খালেক মোল্লা। হাড়োয়ায় মমতার সভা আয়োজনের ভার ছিল তাঁর ওপরেই। বিধায়ক ঊষারানির সঙ্গে খালেকের সম্পর্ক আদায় কাঁচকলায়। মমতার সভা আয়োজনের দায়িত্ব পেয়ে ঊষারানিকে কো🦹নও দায়িত্ব দেননি তিনি। তাছাড়া ব্লক সভাপতি নিয়োগের ক্ষেত্রেও বাতিল হয়ে গিয়েছিল ঊষারানি গোষ্ঠীর মনোনয়ন। খালেক ঘনিষ্ঠ ফরিদ জমাদারকে ব্লক সভাপতি করে জেলা নেতৃত্ব। এর জেরে বিবাদ আরও বাড়ে। এসব কারণেই মমতার সভায় তিনি যাননি বলে অভিষেককে জানান ঊষারানি ও তাঁর স্বামী।
বৈঠক সেরে বেরিয়ে মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডল বলেন, ‘অভিষেকবাবুর সঙ্গে কথা হয়েছে। উনি সব শুনেছেন। আমরা আজ থেকেই হাজি নুরুলকে জেতাতে মাঠে নামব। মিনাখাঁ থেকেই সব থেকে বেশি লিড দ🎃েব।’
আরও পড়ুন: শাহজাহানের বিরুদ্ধে আজ চার্জশিট জমা পড়ল আদালতে, দুর্নীতির অভ♉িযোগ ইডির
এই ঘটনায় ফের একবার তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ প্রকাশ্যে চলে এসেছে বলে মনে করছে রাজনৈতির মহল। তাদের দাবি, প্রতিটি ব্লকে তৃণমূলের একাধিক গোষ্ঠী রয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মতো জেলা যা তৃণমূলের ঘাঁটি সেখানে দলের অন্দরে🐓 ৩ – ৪টি গোষ্ঠীর পর্যন্ত খোঁজ পাওয়া যায়। কোথাও ক্ষমতা দখল নিয়ে, কোথাও সরকারি কাজের বরাত নিয়ে গড়ে উঠেছে তৃণমূলের গোষ্ঠী। লোকসভা ভোটে তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ প্রভাব ফেলতে পারে বলেও মনে করছেন অনেকে।