লোকসভা নির্বাচনে রাজনৈতিকভাবে পেরে উঠবে না বিজেপি। এটা বুঝতে পেরেই এখন টাকার থলি নিয়ে ভোট কিনতে বেরিয়ে পড়েছে। নির্বাচনী জনসভা থেকে এই মন্তব্যই করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরই দেখা গেল, বিজেপি নেতার গাড়ি থেকে লাখ লাখ টাকা উদ্ধার হয়েছে। নাকা চেকিং করার সময় এক বিজেপি নেতার গাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছে মালদা জেলায়। আর তাতেই মুখ্যমন্ত্রীর দাবিতে সিলমোহর পড়েছে। যা নিয়ে চাউর করতে শুরু করেছে তৃণ🍃মূল কংগ্রেস। এমনকী নির্বাচন কমিশন এখন তদন্ত শুরু করেছে।
এদিকে মালদা জেলায় দুটি লোকসভা কেন্দ্র। যা জিততে চায় বিজেপি। সেখানে লড়াই সপ্তমে তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কংগ্রেস একটি আসনে ফ্যাক্টর। এমন আবহে মালদায় এক বিজেপি নেতার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় দু’লাখ টাকা। তাও আবার পুলিশের নাকা চেকিং করার সময় উদ্ধার হয়েছে নগদ টাকা। সুতরাং বিষয়টি নিয়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কারণ ওই টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে নির্বাচন কমিশনের ফ্লাইং স্কোয়াড। তাই কোনও অজুহাত কাজ করছে না। বিজেপি বাংলায় মানুষের স্বার্থে কাজ করেনি বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেস🥃ের। তাই এভাবে ভোট কিনতে চাইছে বল꧒ে অভিযোগ ঘাসফুলের। মালদার রবীন্দ্র অ্যাভিনিউ এলাকায় নাক চেকিংয়ে এই নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘দেব এখন ভাল রাজনীতিবিদ হয়ে উঠেছে🌠’, পিংলার মঞ্চ থেকে দরাজ সার্টিফিকেট ম๊মতার
অন্যদিকে ভরদুপুরে চার চাকার গাড়ি–সহ ওই বিজেপি নেতাকে আটক করে পুলিশ এবং নির্বাচন কমিশনের ফ্লাইং স্কোয়াড। আর তারপরই উদ্ধার হয় ১ লাখ ৯৫ হাজার ৫০০ টাকা। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই বিজেপি নেতার নাম শান্তনু ঘোষ। তিনি বিজেপির দক্ষিণ মালদা সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন। তাই বিষয়টি সহজে ছেড়ে দিচ্ছে না কেউই। তাঁর গাড়ি থেকেই এই বিপুল পরিমাণ টাকা উꦜদ্ধার হয়। এই টাকা তিনি কোথায় নিয়ে যাচ্ছিলেন? উঠছে প্রশ্ন। কারণ নির্বাচনী আদর্শ আচরণ বিধি চালু থাকায় একটি নির্দিষ্ট অংশের বেশি নগদ টাকা নিয়ে ঘোরাফেরা করার উপ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের।
যদিও ওই বিজেপি নেতা শান্তনু ঘোষ সাফাই দিয়ে পুলিশকে ব🌜লেছেন, ব্যবসার টাকা ব্যাঙ্কে জমা করতে যাচ্ছিলেন। তবে ওই টাকার উৎস জানাতে না পারায় বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে নগদ বলে দাবি নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিদের। লোকসভা নির্বাচনের সময় এত বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা নিয়ে যাতায়াত করা নিয়ম বহির্ভূত। সেটা যে দলের নেতা হোন না কেন, নির্বাচন কমিশন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে বলে জানালেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। তবে আগেও কয়েকবার বিজেপি নেতার গাড়ি থেকে টাকা উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। এপ্রিল মাসেই জলপাইগুড়িতে এক বিজেপি নেতার কাছ থেকে বড় অঙ্কের নগদ অর্থ উদ্ধার হয়। আবার শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের অন্তর্গত ঘোষপুকুর এলাকায় বিজেপির মণ্ডল সভাপতি সঞ্জয় সিংয়ের গাড়িতে তল্লাশি করতেই টাকা উদ্ধার হয়। প্রায় দেড় লাখ টাকা ছিল। লোকসভা নির্বাচনের সময় গ্রামে গ্রামে গিয়ে নগদ টাকা বিলি করছেন বিজেপি নেতারা বলে সূত্রের খবর।