⛄ ব্যালট পেপার ফিরিয়ে আনার আর্জি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে যে 'ব্যালট পেপারে (মাধ্যমে যখন ভোটগ্রহণ হত), তখন কী হত, সেটা আমরা সবাই জানি। আপনি হয়ত ভুলে গিয়েছেন। কিন্তু আমরা ভুলে যাইনি।' সেইসঙ্গে ইভিএমে কারচুপি করা হলে শাস্তি প্রদানের জন্য কোনও আইন আছে কিনা, তা নির্বাচন কমিশনের থেকে জানতে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের মতে, 'ধরা যাক, কোনও কারচুপির ঘটনা ঘটেছে। সেক্ষেত্রে কী শাস্তির বিধান আছে, এটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। (মনে) একটা ভয় থাকা উচিত যে ভুল কোনও কাজ করলে শাস্তি পেতে হবে।'
🎃তবে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে যে ইভিএমের ব্যবস্থা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা ঠিক নয়। বিচারপতি দত্ত বলেন, 'আমার নিজের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যা তো জার্মানির থেকে বেশি। কারও উপর আস্থা এবং ভরসা রাখতে হবে আমাদের। এরকম একটা সিস্টেমকে টেনে নামানোর চেষ্টা করবেন না।'
🧔নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সব ভিভিপ্যাটের গণনার জন্য যে একগুচ্ছ পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল, সেই মামলার শুনানিতেই ওই মন্তব্য করেন বিচারপতি দত্ত।মামলাকারীদের আর্জি জানান যে ইভিএমের সঙ্গে প্রতিটি ভিভিপ্যাট স্লিপ মিলিয়ে দেখার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা উচিত। আপাতত সেটা করা হয় না।
♔সেই প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালত মন্তব্য করেছে যে সাধারণত মানুষের হস্তক্ষেপে সমস্যা হয়। মানুষের দুর্বলতা থাকতে পারে। যেটার মধ্যে পক্ষপাতিত্বের বিষয়টিও আছে। সাধারণত মানুষ কোনও হস্তক্ষেপ না করলে সঠিক ফলাফল দেয় মেশিন। সফটওয়্যার বা মেশিনের ক্ষেত্রে মানুষ যখন কোনও হস্তক্ষেপ করেন বা তাতে অনুমোদনহীন পরিবর্তন করা হয়, তখন সমস্যা তৈরি হয়। সেই বিষয়টি যাতে এড়ানো যায়, সেজন্য মামলাকারীদেরও কোনও পরামর্শ থাকলে তাঁরা সেটা দিতে পারেন বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
ꦫসেইসঙ্গে ইভিএমের ক্ষেত্রে যাতে কোনওরকম কারচুপি না করা যায়, সেই পরামর্শও দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি খান্না ও বিচারপতি দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ জানতে চায় যে ভোটদান প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরে টেকনিক্যাল টিমের পরীক্ষার জন্য ইভিএম রেখে দেওয়া যায় কিনা। সেইসঙ্গে সব বুথে সিসিটিভি ক্যামেরা আছে কিনা, তা জানতে চায় সুপ্রিম কোর্ট। তাতে কমিশন জানিয়েছে যে ৫০ শতাংশ বুথে সিসিটিভি ক্যামেরা আছে।