বেশ কিছুদিন আগে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী বলেছিলেন, তিনি ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ꧂্র থেকে প্রার্থী হবেন। আর তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাবেন। কিন্তু তার পর সময় চলে গেলেও নওশাদকে এই নিয়ে কথা বলতে দেখা যায়নি। এমনকী তিনি আর এই কেন্দ্রে প্রার্থীও হননি। সুতরাং নওশাদ যে ব্যাকফুটে গেলেন তা মনে করছেন সকলেই। এবার এই পিছিয়ে যাওয়া নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
এখনও বিজেপি ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্রে প্রার্থী দিতে পারেনি। সুতরাং অভিষেক প্রধান বিরোধী দলের কোনও প্রার্থীকে এখনও প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে পাননি। যদিও সিপিএম প্রার্থী দিয়েছে এই লোকসভা🗹 কেন্দ্রে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই লোকসভা কেন্দ্র থেকে বারবার জিতে এসেছেন। এখানে বহু কাজ করেছেন। আর সেখানে তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী হতে গেলে যে দম ল꧃াগে সেটাই বুঝিয়ে দিয়েছেন কলকাতার মহানাগরিক। ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাতে গেলে দম লাগে। এটা আগেই বোঝা উচিত ছিল আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর।’ নওশাদের যে সেই দম নেই তা সেটাই বুঝিয়েছেন কলকাতা পুরসভার মেয়র।
আরও পড়ুন: অভিষেকের নির্দেশে ভূপতিনগরে যাচ্ছেন কুণাল–চন্দ্রিমা, তৃণমূল যাবে নিꦚর্বাচন কমিশনে
ইতিমধ্যেই নিজের লোকসভা কেন্দ্রে টানা তিনদিন নির্বাচনী বৈঠক করে এসেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানেই শেষ নয়, সারা রাজ্যে তিনি নির্বাচনী প্রচারে চষে বেড়াচ্ছেন। ডায়মন্ডহারবারে বিগত দিনে মানুষের স্বার্থে উন্নয়নমূলক কাজ করেছে অভিষেক। বিশাল পরিমাণ উন্নয়ন হয়েছে সমগ্র ডায়মন্ডহারবার জুড়ে। তার জন্য ডায়মন্ডহারবারের মানুষ যথেষ্ট খুশি বলে জানান ফিরহাদ হাকিম। সেই কারণেই এই মুহূর্তে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানো তো দূরের কথা🦩 তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী দিতেও ভয় পায় অন্য রাজনৈতিক দলগুলি বলে দাবি ফিরহাদের।
নওশাদ সিদ্দিকীর ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী না হওয়া নিয়ে কড়া মন্তব্য করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তাঁর কথায়, ‘বড় বড় কথা বলে কোনও লাভ হয় না। করে দেখাতে হয়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাতে গেলে দম লাগে। এটা আগেই বোঝা উচিত ছিল আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর। পিছনে নেই ইন্দি ভজ গোবিন্দি।’ ভূপতিনগরে এনআইএ’র যাওয়া নিয়েও কটাক্ষ করেন ফিরহা🦹দ। তাঁর কথায়, ‘এখন লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। মানুষজন প্রচারে🌺 নেমে পড়েছে পুরোদমে। সেখানে রাজনৈতিকভাবে লড়াইয়ে করতে না পেরে বিজেপি এজেন্সি লেলিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীদের মনোবল ভেঙে দিতে চাইছে। যদিও এতে তারা সফল হবে না।’