পশ্চিম ভারতের রাজ্য মহারাষ্ট্রের ৪৮টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পুণে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি কেন্দ্র। ১৯৫২ সাল থেকেই 🐼এই কেন্দ্রে লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ভারতীয় জনতা পার্টির গিরিশ বাপট এই কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করলেও ২৯ মার্চ তিনি মারা যাওয়ার পর এই আসনটি বর্তমানে সাংসদ শূন্য। পুণের নির্বাচনী এলাকার আসন পুনর্বিন্যাসের পরবর্𒐪তীতে বর্তমানে এই লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে রয়েছে ছয়টি বিধানসভা কেন্দ্র। কেন্দ্রগুলি হল যথাক্রমে ভাদগাঁও শেরী, শিবাজীনগর, কোথরুদ,পার্বতী, পুণে ক্যান্টনমেন্ট এবং কসবা পেঠ। এর মধ্যে কেবলমাত্র পুণে ক্যান্টনমেন্ট আসনটি তফসিলি জাতিদের জন্য সংরক্ষিত।
এবার পুণেতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। বিজেপির প্রার্থী পুণের পরিচিত মুখ, ওখানকার মেয়র মুরলিধর মহল। অন্যদিকে ইন্ডিয়া জোটের হয়ে এই আসনে লড়ছে কংগ্রেস। তাদের প্রার্থী কংগ্রেস বিধায়ক রবীন্দ্র ধাঙ্গেকর। এই আসনে বর্তমানে বিজেপির দাপট থাকলেও ডাকসাইটে সুরেশ কালমাডির মত কংগ্রেস নেতা দীর্ঘদিন পুণের প্রতিনিধিত্ব করেছেন সংসদে। মহারাষ্ট্রের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ শহরে তাই কে জিত🔴বে কেউই নিশ্চিত নয়।&n⛦bsp;
ঐতিহাসিকভাবে লোকসভা নির্বাচনের দিকে চোখ রাখলে দেখা যাবে ১৯৫২ সালের নির্বাচনে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ꦐএই কেন্দ্রে জয়লাভ করে। ১৯৫৭ সালের নারায়ণ গনেশ গোর প্রজা সমাজতান্ত্রিক দলের পক্ষ থেকে জয়লাভ করেছিলেন।
১৯৬২ সালে শংকর রাও মোর এই কেন্দ্রে কংগ্রেসের টিকিটটা সাংসদ নির্বাচিত হন। ১৯৬৭ সালে সম্মিলিত সমাজতান্ত্রিক দলের পক্ষ থেকে এই কেন্দ্রে জয়ী হন শ্রীধর মহাদেব যোশী। ১৯৭১ এবং ১৯৭৭ এর নির্বাচনে মোহন ধারিয়া জয় লাভ করেন যথাক্রমে জন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস এবং জনতা দলের টিকিটে। ১৯৮০ থেকে ১৯৮৯ পর্যন্ত জাতীয় কংগ্রেসেরই দখলে থাকেই কেন্দ্রটি। ১৯৯১ সালে প্রথমবারের জন্য ভারতীয় জনতা পার্টির আনা যোশী নির🅺্বাচিত হন। মধ্যবর্তী পর্যায় ১৯৯৬ এবং ১৯৯৮ নির্বাচনেও জাতীয় কংগ্রেসের প্রার্থীরা এই কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেন। তবে, ১৯৯৯ সালে আরেকবার জনতা পার্টির হাতে যায় এই কেন্দ্রটি। ২০০৪ এবং ২০০৯ সালে নির্বাচনে জাতীয় জাতীয় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সুরেশ কালমাডি এই কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে অনিল শিরোলে কংগ্রেসের প্রার্থী ডক্টর বিশ্বজিৎ কদমকে ৩২ শতাংশের কাছাকাছি ভোটে পরাজিত করেন। ২০১৯ সালে জাতীয় কংগ্রেস প্রার্থী মোহন যোশী পরাজিত হন বিজেপির গিরিশ বাপটের কাছে।
বিধানসভা নির্বাচন🔴ের দিকে নজর রাখা গেলে দেখা যাবে এই কেন্দ্রের অন্তর্গত বিধানসভা কেন্দ্রগুলির মধ্যে ভাদগাঁও শেরী কেন্দ্রে ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির পক্ষ থেকে সুনীল টিংরে জয়ী হয়েছিল৷ অন্যদিকে শিবাজী নগর, পার্বতী, পুণে ক্যান্টনমেন্ট, কোথরুদ কেন্দ্রে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীরা জয়লাভ করেন। কসবা পেঠ কেন্দ্রটি যায় জাতীয় কংগ্রেসের দখলে।